খাগড়াছড়ি সদর সেনা জোনের উদ্যোগে আলুটিলা পূর্ণবাসন এলাকার প্রত্যন্ত ৪টি গ্রামের ১৬০টি উপজাতীয় পরিবার দীর্ঘ ৩৭বছর পরে সুপেয় পানি ব্যবহারের সুযোগ পেল।
আজ শনিবার(৩০এপ্রিল ২০২২ইং ) সকালের দিকে আলুটিলার পূর্ণবাসন এলাকায় স্থাপিত সুপেয় পানি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর জোন অধীনায়ক সাইফুল ইসলাম সুমন পিএসসি, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার ( জি টু আই) মেজর মোঃ জাহিদ হাসান, সদর জোন উপ অধীনায়ক মেজর রিয়াজুল ইসলাম,ক্যাপ্টেন শিহাব উদ্দিন, মাটিরাংগা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হেমেন্দ্র ত্রিপুরা প্রমুখ।
এ সময় তিনি বলেন,সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চল তথা সমগ্র দেশের মানুষের শান্তি সম্প্রীতি ও জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন তথা সমগ্র সেনাবাহিনী স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিনিয়তই জনকল্যানমূলক কাজ করে আসছে।এই ধারাবাহিকতায় অত্র এলাকার জনসাধারণের সুবিধার্থে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের এই প্রচেষ্টা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য এলাকার এবং দেশের সকল মানুষের পাশে সবসময় ছিল,আছে এবং থাকবে।
প্রকল্পটি উদ্বোধন কালে স্থানীয়রা বলেন,আমাদের এ এলাকার দীর্ঘদিনের পানির সমস্যা থেকে আজ মুক্তি পেলাম।এখন থেকে আমরা সু্পেয় ও স্বাস্থ্যসম্মত পানি ব্যবহার করতে পারবো।পানির জন্য আমাদের যে কষ্ট করতে হতো,আজ থেকে আমরা সে কষ্টসাধ্য থেকে মুক্তি পেয়েছি।এই মহতি উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনা, খাগড়াছড়ি জোন কমান্ডারকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।
জানা যায়,খাগড়াছড়ি জেলাধীন পূর্ণবাসন ১ ও ২ প্রকল্প দুটি জেলা শহর থেকে ০৮কিঃমিঃ দূরে আলুটিলা এলাকায় অবস্থিত এবং প্রকল্প দুটি ১৯৮৫ সালে নির্মাণ করা হয়।পূর্ণবাসন ১ ও পূর্ণবাসন ২ এলাকায় যথাক্রমে ১২০টি পরিবার ও ৪০টি পরিবারে সর্বমোট ৩৫৭ জন জনবল এ এলাকায় বসবাস করে।অত্র এলাকায় সুপেয় পানির ঘাটতি থাকার কারণে পূর্নবাসন প্রকল্প ১ ও ২ এর জনসাধারণ বিগত ৩৭বছর যাবৎ নিদারুন কষ্ট ভোগ করে আসছে।এমতাবস্থায়, বিষয়টি গত মার্চ মাসের ২৫তারিখে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের দৃষ্টি গোচরীভূত হলে রিজিয়ন কমান্ডার,খাগড়াছড়ি রিজিয়নের আদেশক্রমে এবং খাগড়াছড়ি সদর জোনের তত্বাবধানে পূর্ণবাসন ১ ও ২ এলাকায় জনগনের স্বার্থে একটি ১০হাজার লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন পানির ট্যাংকি স্থাপন এবং পাম্পের মাধ্যমে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫০০মিটার উচুঁতে পাইপের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে সুপেয় পানির সুব্যবস্থা করা হয়েছে।এ ১০হাজার লিটার ট্যাংক হতে পূর্ণবাসন এলাকার গ্রাম (৪০পরিবার,৩৩পরিবার ,দৌকান পাড়া,মন্দির পাড়া)নামে ৪টি গ্রাম এ সুপেয় পানির সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে।
এ প্রকল্পটি গত ১৮এপ্রিল পাম্প স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়ে গত ২৯এপ্রিলে মাত্র ১২দিনের মধ্যে পাম্প স্থাপনের কার্যক্রম সম্পূর্ণ সমাপ্ত হয়।খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম’র সহযোগিতায় সর্বমোট ১লাখ ৫৬হাজার টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি সম্পন্ন হয়। এখন থেকে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের পানির সমস্যা দূর হবে।
এম/এস