খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন তবলছড়ি গ্রীনহিল ডিগ্রি কলেজের ছাত্র রকিবুল ইসলাম নয়ন। ভালবেসে বিয়ে করেন নও মুসলিম মারিয়া চৌধুরী আয়েশা (রনিতা ত্রিপুরাকে)। তাদের ভালবাসার সম্পর্ক বিগত দুই বছর ধরে চলছিল যা নও মুসলিম মারিয়া চৌধুরী আয়েশার পরিবার জানতো কিন্তু নয়নের পরিবারের সদস্যরা জানতো না। হটাৎ করে গত ২১ এপ্রিল নও মুসলিম মারিয়া চৌধুরী আয়েশা (রনিতা ত্রিপুরাকে) জোর পূর্বক তার পরিবার তবলছড়ি গৌরাঙ্গ পাড়ার মেন্দু ত্রিপুরা (৫১) এর সাথে তাকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে সে তার পরিবারের সিদ্ধান্ত না মেনে তার ভালোবাসার মানুষের হাত ধরে ঘর থেকে বের হয়ে ভালোবাসায় টানে ধর্মান্তরিত হয়ে রকিবুল ইসলাম নয়নের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এবিষয়ে সমাজে বা জাতিগত বিশৃঙ্খলা তৈরি যেন না হয় সেজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বক্তব্যের মাধ্যমে নও মুসলিম মারিয়া চৌধুরী আয়েশা (রনিতা ত্রিপুরা) তার অবস্থান পরিষ্কার করে বিবৃতি প্রদান করেন। যাতে বলাছিল “আমি রনিতা ত্রিপুরা রকির সাথে আমার দুই বছরের সম্পর্ক যা আমার পুরো পরিবারের লোক জানতো আমার অনিচ্ছা সত্ত্বে গত ২১ তারিখে বাড়িতে বিয়ে ঠিক করেছিলো তাই গত বিশ তারিখে আমি রকিবকে জোর করিয়ে আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলি, না হয় আমি আত্মহত্যা করবো। তাই বিশ তারিখে তার সাথে আমি বাসা থেকে চলে আসি। আমি আমার সেচ্চায় স্বজ্ঞানে রকির সাথে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করেছি তাই আমার পরিবার এবং সবাইকে কোনো বিবাদে না জড়ানোর জন্য অনুরোধ করতেছি”
এদিকে নয়নের পরিবারকে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ইউপিডিএফের নেতাকর্মীরা ধরে নিয়ে জানে মেরে ফেলার হুমকি ধমকি দিচ্ছে। বর্তমানে রকিবুল ইসলাম নয়নের পরিবার ভয় ও আতঙ্ক নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এবিষয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত ২০০৩)এর ৭ এর ৩০ মামলা রজু করা হয়েছে।
অন্যদিকে নয়নের মা বিবি কুলছুল ইউপিডিএফ হুমকি এবং তবলছড়ি পাড়ির আইসি ইন্সপেক্টর মনিরের হয়রানি বন্ধ সহ পারিবারিক নিরাপত্তা চেয়েছেন সংস্লিষ্ট সকলের কাছে ।
এম/এস