খাগড়াছড়িতে গত মঙ্গলবার অভিযানে আটক ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ) প্রসীত গ্রুপের সংগঠক মিলন চাকমার মৃত্যুর প্রতিবাদে ডাকা আধা বেলা সড়ক অবরোধ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
এসময়, মাটিরাঙার বাইল্যাছড়িতে সিএনজিতে আগুন, তবলছড়ির লাইফুপাড়া, ইসলামপুর এলাকায় মোটরসাইকেল
আগুনে পুড়িয়ে দেয়। সড়কের দু’পাশ থেকে শত শত গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে রাখে অবরোধকারীরা।
সোমবার(২১ মার্চ) ভোর ৬ টা থেকে খাগড়াছড়ির সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকে।
দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ চলে বলে নিশ্চিত করেছেন ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রæপের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের মুখপাত্র নিরন চাকমা।
খাগড়াছড়ি সদরের বিভিন্ন সড়কে দেখা যায়, জেলা শহরের শাপলা চত্বর, চেঙ্গী স্কোয়ার সহ আশপাশের সড়কে অটো রিক্সা ও মোটরসাইকেল সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে। তবে সাজেকগামী পর্যটকবাহী পরিবহন ও জেলা সদরের সাথে উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। খাগড়াছড়ি থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোন পরিবহন। এতে করে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সাপ্তাহিক হাটের দিন হলেও বাজারের অলিগলি ফাঁকা রয়েছে। গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় দূরদূরান্তের ক্রেতা বিক্রেতারা আসতে পারেনি হাটে।
এ দিকে, অবরোধের সমর্থনে ভোরে জেলা সদরের নারায়ণ খাইয়া রেড স্কোয়ার চত্বরে সড়কে টায়ার জ¦ালিয়ে পিকেটিং করেছে ইউপিডিএফ’র ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কর্মীরা। এ ছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে পিকেটারদের অবস্থান রয়েছে।
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকগামী পরিবহনের লাইনম্যান মো. আরিফ জানান, সাজেকগামী সকালের গাড়ি ছেড়ে যায়নি। নিরাপত্তার স্বার্থে শ্রমিকরা গাড়ি নিয়ে যায়নি।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আব্দুল আজিজ বলেন, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়নের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল জোরদার ছিলো।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ইউপিডিএফ’র সশস্ত্র এক কর্মী মিলনকে অস্ত্র সহ আটকের কয়েক ঘন্টা পর তার মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র আইনে সহ একাধিক মামলা ও গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ছিল।
এ ঘটনাকে বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ড দাবি করে আসছে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ। এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ সহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনটি।
এম/এস