কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী কোয়ান্টাদের প্যারেড নৈপুণ্য ও শিক্ষা-ক্রীড়ায় সাফল্য দেখে মনে হচ্ছে তোমরা আগামীর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। প্রাকৃতিক আবহে নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে তোমরা যেভাবে বেড়ে উঠছ, আসলে তোমরাই হবে জাতির ভবিষ্যৎ। কারণ দেশের দুর্গম একটি এলাকায় থেকে তোমরা অন্যদের তুলনায় এগিয়ে যাচ্ছ সাহসের সাথে, এটা সত্যি প্রশংসার বিষয়। এসব কিছুর জন্যে আমি সেই নেপথ্য মানুষটিকে যিনি এই স্কুলের স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা গুরুজী শহীদ আল বোখারী মহাজাতককে ধন্যবাদ জানাই।’
১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উপলক্ষে বান্দরবান লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজে আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
১৭ মার্চও আগামী দু’দিন তিনি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের লামা সেন্টার সফর করবেন। ১৭ মার্চ বিকেলে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের হিকমান প্রাঙ্গণে মাননীয় বিচারপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করে স্কুলের প্যারেড ও ব্যান্ড বাদক দল। প্যারেড ও ব্যান্ডবাদনা দিয়ে বহু পুরস্কার ও প্রশংসা কুড়ানো কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের কুচকাওয়াজ ও বাদন মুগ্ধ করে মাননীয় অতিথিসহ মাঠে উপস্থিত তার সফরসঙ্গীদের। সফরসঙ্গীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তার সহধর্মীনি শাহনাজ বাবলী।তিনি সুপ্রীম কোর্টের একজন আইনজীবী।
এরপর মাননীয় বিচারপতি কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ পরিদর্শন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ইনর্চাজ সালেহ আহমেদ এবং সভাপতিত্ব করেন স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপিকা আমেনা বেগম।
এরপর কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের আন্তর্জাতিক মানের জিমনেসিয়ামে কোয়ান্টামের ক্ষুদে জিমন্যাস্টদের পারফরমেন্স বিচারপতিকে অভিভূত করে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে এই স্কুলটি যাত্রা শুরু করে মাত্র সাত জন ছাত্র নিয়ে। ২০ বছরের পরিক্রমায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজে এখন আবাসিকে থেকে পড়াশোনা করছে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা সুবিধাবঞ্চিত আড়াই সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রী।
এম/এস