• শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সোনাগাজীতে কৃষকদের মাঝে সার বীজ ও নগদ অর্থ  বিতরণ  গণপ্রকৌশল দিবস উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মাদ্রাসা শিক্ষা নৈতিক ও উত্তম চরিত্র গঠনেও ভূমিকা রাখে- ইউএনও মনজুর আলম মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশের অভিযানে দুই বছর ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার বাঙ্গালহালিয়াতে রাধামদন গোপাল গিরিধারী সেবা কুঞ্জে অন্নকুট উৎসব সম্পন্ন রাজশাহী রেসিডেন্সিয়াল কলেজে নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা কাপ্তাইয়ে ইউএনও এর বিদায় সংবর্ধনা নেত্রকোনায় জননন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মদিনে হিমু উৎসব জনগণের মন জয় করাই বিএনপি’র রাজনীতির লক্ষ্য মানিকছড়িতে ‘সম্প্রীতির বিশাল সমাবেশে’ ওয়াদুদ ভূঁইয়া গুইমারায় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে মানবিক সহায়তা ও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান খাগড়াছড়িতে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে মাদকবিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমনে লামা-আলীকদমে সচেতনতামূলক পথসভা

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা / ৩৮৬ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ৭ মার্চ, ২০২২

“আমরাই পারি বন্যপ্রাণী বাঁচাতে”এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে বন্যপ্রাণীর প্রতি অপরাধ দমন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বান্দরবান জেলার লামা-আলীকদমে ১ দিন ব্যাপী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (০৭ মার্চ) দিনব্যাপী আলীকদম উপজেলার বন বিভাগের তৈন রেঞ্জ অফিসে এই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ঢাকার পরিচালক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন।

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ঢাকার পরিচালক এ এস এম জহির উদ্দিন আকনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলাল, সহকারী বন সংরক্ষক খন্দকার মোঃ গিয়াস উদ্দিন, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ঢাকার পরিদর্শক অসীম মল্লিক।

পথসভায় লামা আলীকদম উপজেলা থেকে সাংবাদিক, শিক্ষক, হেডম্যান, কারবারী, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, শিক্ষার্থী, নারী নেত্রী, বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সুশীল সমাজের ৩০ জন প্রতিনিধি এই সচেতনতামূলক পথসভায় অংশ নেয়।

জহির উদ্দিন আকন বলেন, বনের গাছপালা কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক কারণে বিলুপ্ত হওয়ায় বন্যপ্রাণী আজ হুমকির মুখে। পরিবেশ হচ্ছে জীবের প্রতিকূল। জলবায়ু হচ্ছে বৈরী। অথচ বনই হচ্ছে প্রাণীর জন্ম, বিচরণ, প্রজনন ও বসবাসের উপযুক্ত জায়গা। আইইউসিএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বৈরী জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশে ৭০৮ প্রজাতির মাছের মধ্যে ৫৪টি, ৬৩২ প্রজাতির পাখির মধ্যে ১২টি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে এবং ৩০ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। ৪৯ প্রজাতির উভচর প্রাণীর মধ্যে ৮টি, ১৬৭ সরীসৃপ প্রজাতির মধ্যে ১৭টি বিলুপ্তির পথে। ১২৭টি স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে ১২টি বিপন্ন আর ১৭টি বিলুপ্তির পথে। ৫ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে ১০৬টি অস্তিত্ব হুমকির মুখে। ডাইনোসোরের মতো বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে বাঘ। প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় ৫০টি বাঘ কমে যাচ্ছে।

দেশের জীববৈচিত্র্যের অফুরন্ত ভাণ্ডার হচ্ছে বন। বনই হচ্ছে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ধারক ও বাহক। বন আছে বলেই উদ্ভিদ ও প্রাণী বেঁচে আছে। বন শুধু গাছপালাই রক্ষা করে না। সব প্রাণিজগৎকে বাঁচিয়ে রেখেছে। অনেক উন্নত জাতের ফসল উদ্ভাবনের জন্য বন্য প্রজাতির ফসলের জিন সংগ্রহ করা হয়। প্রায় দুই হাজার প্রজাতির ভেষজ উদ্ভিদের জন্ম, উৎপত্তি, বাস ও নিরাপদ স্থান হচ্ছে বন। আগে বনই ছিল মানুষসহ সব প্রাণীর খাদ্যের উৎস। প্রকৃতির প্রতিটি উদ্ভিদ ও প্রাণীর খাদ্যের জন্য একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল।

দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য বন রক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য বন ও বন্যপ্রাণী অপরিহার্য।

এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ