বাজারে মোটা চালের কেজি ৫৩ টাকা। সর্বনিম্ন ১৬৫ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে বোতলজাত সয়াবিন তেল। এদিকে পেঁয়াজের কেজি ৫৫ টাকা। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা রয়েছেন উদ্বিগ্নে। তারা বলছেন, ‘জীবন চালানো এখন দুর্বিষহ’।
মূল্যস্ফীতি বাড়ার কথা স্বীকার করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বুধবার (২ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব আলোচনা করেন।
এম এ মান্নান বলেন, ভারত এবং যুক্তরাজ্যের তুলনায় আমাদের মূল্যস্ফীতি কম। বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। বাজারে ক্রেতা ঢুকেছে, মাল কিনেই বের হচ্ছে। গতকাল (মঙ্গলবার) সিলেটে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখলাম ট্রাকে ট্রাকে মাল বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, রপ্তানির বাজারে শ্রম ও পণ্যের বাজারও ইতিবাচক। সার্বজনীন পেনশন সকল সব মহলে সাড়া ফেলেছে।
চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ইস্যুতে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের সব থেকে ব্যয়বহুল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে মোট ব্যয় ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এর নব্বই ভাগ টাকা ঋণ দিয়েছে রাশিয়া। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউক্রেন যুদ্ধের কোনো প্রভাব পড়বে না।
পরিকল্পনামন্ত্রী রাশিয়ার প্রশংসা করে বলেন, আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আমরা শান্তিকামী দেশ। তবে রাশিয়া সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাশিয়া আমাদের সহযোগিতা করেছে।
এম/এস