খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২২ইং উদযাপন করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রামগড় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রামগড় লেকস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাত ১২.১মিনিটের সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মোহাম্মদ ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত এর নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসন,উপজেলা পরিষদ,রামগড় পৌরসভা,রামগড় উপজেলা আওয়ামীলীগ,রামগড় উপজেলা বি.এন.পি, রামগড় প্রেস ক্লাব, রামগড় উপজেলা প্রেস ক্লাব সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিক দল,সরকারি -বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সহ সর্বস্তরের জনগন।
২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার সময় রামগড় উপজেলা টাউন হল প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহিদের স্বরণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মোহাম্মদ ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার উম্রাচিং চৌধুরীর সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়,উক্ত আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,রামগড় পৌরসভার প্যানেল মেয়র ২ কাজী আবুল বসর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)উম্মে হাবিবা মজুমদার,রামগড় থানার (ওসি) মোঃ শামসুজ্জামান,উপজেলা মৎস্য অফিসার বিজয় কুমার দাস, তথ্য অফিসার বেলায়েত হোসেন,রামগড় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইফতেখার উদ্দিন,কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রাশেদ চৌধুরী,আইসিটি প্রোগ্রামার রেহান উদ্দিন,রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত )প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের ,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন,খাদ্য কর্মকর্তা আসাদ ভুঁইয়া,সমাজসেবা অফিসার আন্জুমান আরা আন্জুম,উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মিসেস জান্নাতুল মাওয়া প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন বাংলা ভাষা মানুষের প্রাণের ভাষা,এই ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করে অন্তরে প্রশান্তি পাওয়া যায়,দুঃখজনক হলেও সত্য যে ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী অন্যায়ভাবে বাংলাদেশের মানুষের মাতৃভাষার ওপর আঘাত এনেছিল,তারা বাংলাদেশের মাতৃভাষা কেঁড়ে নিতে চেয়েছিল,অন্য ভাষাকে বাংলাভাষী মানুষের উপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল,তাদের এই অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ রাজপথে তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলেছিল,পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর দম্ভ অহংকার সেদিন এদেশের দামাল ছেলেরা বুকের তাঁজা রক্ত ঢেঁলে দিয়ে ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করেছে। এসময় বক্তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
এসময় সভায় রামগড় উপজেলার সরকারি,বেসরকারি সকল দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তা,শিক্ষক- শিক্ষার্থী,সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।