• বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মহালছড়ি থানা পুলিশের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল কাপ্তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক যাকাত বিতরণ বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বান্দরবানে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মানিকছড়ি বিএনপির উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন বিনম্র শ্রদ্ধা ভালোবাসায় মানিকছড়িতে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন যথাযথ মর্যাদায় মহালছড়িতে পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস ২০২৫ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গুইমারা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নানা আয়োজনে কাপ্তাইয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন  মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা বিতরণ করলেন হাবীব আজম লামায় যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস পালিত খাগড়াছড়িতে বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদদের স্মরণে মধ্য দিয়ে ২৬শে মার্চ পালিত মহালছড়ি রেড ক্রিসেন্টের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে ফুটবলকন্যাদের বাড়িতে খাগড়াছড়ি জেলা প

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ৬৩৯ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১

কাঁচা রাস্তা এবং ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পার হয়ে ফুটবলকন্যা আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনীর সাত ভাইয়াপাড়া গ্রামের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি বুধবার দুপুরে তাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আনাই ও আনুচিং মগিনীর পরিবারের খোঁজ-খবর নেন তিনি।

প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আনাই ও আনুচিং বাংলাদেশের গর্ব। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আনাই মগিনী গোল করে দেশের সবার মুখ উজ্জ্বল করেছে। তাদের প্রতিও খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক, সরকারি-বেসরকারি এবং সকল স্বায়ত্তশাসিক প্রতিষ্ঠান সহ আমরা যে যার যার অবস্থান থেকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই তাদের পাশে দাঁড়াতে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আনাই ও আনুচিং মগিনী দুই বোনের জন্য দুই লাখ টাকা করে চার লাখ টাকার এফডিয়ার করে দেয়ার ঘোষণা করছি।

এছাড়াও পরিবারের সুপেয় পানি জন্য একটি ডিপ টিউবওয়েল, বৈদ্যুতিক সুবিধার জন্য ৩ টি বৈদ্যুতিক খুটি, কাঁচা রাস্তা পাকা, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোরস্থলে ব্রিজ এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ারও ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।

এসময়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব কংকন চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চাকমা, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে)’র সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী, ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ধুমকেতু মারমা, কোষাধ্যক্ষ বৈইরি মিত্র চাকমা, নির্বাহী সদস্য পরিমল কর্মকার এবং ফুটবলকন্যা আনুচিং মগিনীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

আনাই ও আনুচিং মগিনী যমজ বোন। বাড়ি পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির সদর উপজেলাধীন গোলাবাড়ি ইউনিয়নের সাত ভাইয়াপাড়া এলাকায়। বাঁশের সাঁকো হয়ে তাদের বাড়িতে যেতে হয়। নেই কোনো রাস্তা। এমন প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে এসে দুই বোন একসঙ্গে খেলছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলে। তারা এখন শুধু পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির নয় সারাদেশের মানুষের কাছে পরিচিত মুখ। তাদের নিয়ে গর্বিত পরিবার ও এলাকাবাসী।

গত ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেই একমাত্র গোলটিই করেছিলেন আনাই মগিনী। তার এক গোলই বাংলাদেশের বিজয় এনে দিয়েছে।

ঢাকা কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দেশের হয়ে ভারতের বিপক্ষে একমাত্র গোলটি করার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন এই নারী ফুটবলাররা। আনন্দ-উল্লাসে মেতেছেন পরিবারের সদস্য ও গ্রামের বাসিন্দারা।

আনাই মগিনী-আনুচিং মগিনী খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার গোলাবাড়ি ইউনিয়নের সাত ভাইয়াপাড়া এলাকার রেপ্রু মগ ও আপ্রুমা মগিনীর যমজ মেয়ে। সাত ভাইবোনের মধ্যে ছোট দুই বোন আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনী। তারা বাংলাদেশ ফুটবল টিমে খেলেন। বাকি দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। তিন ভাইও বিয়ে করে সংসার করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ