খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে স্থগিত হওয়া ৫কেন্দ্রে নির্বাচন ৩০ডিসেম্বর।
এ দিন, জেলার দীঘিনালা উপজেলার ২ইউনিয়নের ৪কেন্দ্রে এবং মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি ইউপির ১কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তবে নিরাপত্তা নিয়ে ভয় ও শঙ্কায় ভোটার ও অনেক প্রার্থী। আশংকার কথা জানিয়ে এক মেম্বার প্রার্থী বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট কেন্দ্রে সারাদিন বসে না থাকলে ভোট ডাকাতি ঠেকানো যাবে না।
দীঘিনালা উপজেলার ২ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১টিতে স্বতন্ত্র ও ১টিতে নৌকার প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় তেমন ঝুঁকি না থাকলেও মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি ইউপিতে শংকা প্রবল, ফলে উৎকন্ঠায় রয়েছেন ভোটার ও প্রার্থীরা।
নিরাপত্তার বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলা নির্বাচন অফিসার সুসমিকা চাকমা বলেন, মাইসছড়ি কেন্দ্রটি যেহেতু ঝুঁকিপূর্ণ তাই নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা যেমন বাড়ানো হবে, তেমনি প্রয়োজনে সাবর্ক্ষনিক ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকবেন।
নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজাই মারমা বলেন, এ ওয়ার্ডে ১৩০৫ভোটের মধ্যে ৩৮জন মারা গেছেন এবং ১২জন বিদেশে আছেন। অবশিষ্ট ১২৫৫জনের মধ্যে অধিকাংশই বিএনপির কমী সমর্থক যারা কখনো নৌকায় ভোট দেয়নি এবং দিবেও না। তারা ইতিপূর্বে আমাকে ভোট দিয়ে ৪বার চেয়ারম্যান বানিয়েছিলেন, এবারও বানাবেন বলে শতভাগ নিশ্চিত। তিনি বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন অতীতে ৩বার মেম্বার পদে নির্বাচনে ব্যার্থ এবং গতবার চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছেন। কাজেই ১১৯৯ভোটে এগিয়ে আছি মানে আমি বিজয়ী হয়েই আছি।
নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে নৌকার প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন বলেন, অন্য ৮ওয়ার্ডের চেয়ে এই ওয়ার্ডের বিষয়টি আলাদা। এখানে সব ভোটার বাঙালী। স্থানীয় নির্বাচনে সাম্প্রদায়িকতার একটা বিষয় থাকে। কাজেই সব ভোটারকে উপস্থিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে । আশাকরি সব ভোটারকে উপস্থিত করা সম্ভব হলে আমি বিজয়ী হতে পারবো।
গত ২৮ডিসেম্বর নির্বাচনে মাইসছড়ি ইউপির ৮কেন্দ্রের সবোর্চ্চ আশি শতাংশ ভোট পড়েছে একটি কেন্দ্রে আর অন্যগুলোতে গড়ে ৬৩শতাংশ।
মাইসছড়ি ইউপিতে স্থগিত হওয়া ২নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রে ভোটার রয়েছে ১৩০৫টি। এরমধ্যে ৩৮জন মারা গেছেন এবং ১২জনের অধিক দেশের বাইরে।
অবশিষ্ট ১২৫৫ভোট হতে নৌকা বিজয়ী হতে দরকার ১২২৯ভোট। আর আনারসের দরকার শুধু ২৮ভোট।