রাঙামাটিতে চতুর্থ ধাপে শেষ হওয়া নানিয়ারচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফলাফল শেষে ভোট পুনঃগণনার আবেদন করেছেন এড. দর্শন চাকমা ঝন্টু।
গত ২৬ই ডিসেম্বর রাতে নানিয়ারচর উপজেলার ৩৬টি নির্বাচনী কেন্দ্রের ফলাফল শেষে উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষনা করেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার ভূপতি রঞ্জন চাকমা।
এতে নানিয়ারচর ইউনিয়ন পরিষদের ৯টি কেন্দ্র মিলে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাপ্পি চাকমা পেয়েছেন ৩৬৭৭ভোট। অন্যদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের এড. দর্শন চাকমা ঝন্টু পেয়েছেন ৩৬৫১ ভোট।
ঐদিন ফলাফল ঘোষণার পূর্বেই দর্শন চাকমা ভোট পুনঃগণনার জন্য সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ ও আবেদন করেছেন।
এদিকে ফলাফল ঘোষণার পরই তার কর্মী সমর্থকরা জয়বাংলা ধ্বনি তুলে ঝটিকা মিছিল বের করে। এসময় প্রশাসনের সহায়তায় তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া দেন নানিয়ারচর থানার ওসি সুজন হালদার।
দর্শন চাকমা আবেদনে উল্লেখ করেন, নানিয়ারচর সদর ইউনিয়নের ০২, ০৩, ০৪, ০৫, ০৭, ০৮, ০৯ নং ওয়ার্ডের কেন্দ্র গুলোতে তার নিয়োজিত পোলিং এজেন্টেদের পাহাড়ি সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদর্শন করে এবং মৃত্যুর হুমকি প্রদান করা হয়েছে।
যার ফলে উল্লেখিত কেন্দ্রের পোলিং এজেন্টগণ প্রাণভয়ে কোন রকম প্রতিবাদ না করে সরাসরি তার নির্বাচনী অফিসে এসে দর্শন চাকমাকে অবহিত করেন এবং ভোট গণনার সময় কোন প্রকার প্রতিবাদ করলে প্রাণে মারার হুমকি দেয়।
তাছাড়াও ভোট গ্রহণের আগের রাত থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ভোটারদের বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি ও হুমকি দিয়ে এসেছে কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে এলাকায় থাকতে দেওয়া হবে না। নৌকার এজেন্ট হিসেবে কাজ করলে গুলি করে মেরে ফেলা হবে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
নৌকা প্রতিকের প্রার্থী দর্শন চাকমা বলেন, ভোট গণনার সময় আমার পোলিং এজেন্টদেরকে বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি এবং হুমকি দেওয়া হয়েছে। যার কারণে আমার এজেন্টরা কোন প্রকার প্রতিবাদ করতে পারেনি। ভোট গণনার সময় কারচুপি হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন। ফলে উল্লেখিত কেন্দ্র সমূহে ভোট পূনঃগণনের জন্য তিনি রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, দর্শন চাকমার অভিযোগটি আমরা সদয় বিবেচনার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়ে দিব। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে বিবেচনা পূর্বক সিদ্ধান্ত জানানো হবে।