সারা দেশের মধ্যে অন্যতম অপরাধ প্রবণ এলাকা গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট। যেখানে মাদক দ্রব্যের রমরমা ব্যবসাসহ নানা ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকে। মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এবং বুধবার বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে কতিপয় যৌনপল্লীর প্রভাবশালী বাসিন্দারা।
জানা যায়, গত সোমবার গোয়ালন্দ উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটিতে দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল দৌলতদিয়ায় মাদক দ্রব্যের অবাধ ব্যবহার ও কেনা-বেচা বন্ধ করতে প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ‘আসুন সাবাই মিলে দৌলতদিয়া ইউনিয়নকে মাদক মুক্ত করি’। তার এই আহবানে দৌলতদিয়ার প্রভাবশালী একটি মহল চরম ক্ষুব্দ হয় বলে দাবি করেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল। এর একদিন পর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর প্রভাবশালী বাড়িওয়ালী ও অসহায় নারী ঐক্য সংগঠনের নেত্রী ঝুমুর বেগমের নেতৃত্বে দৌলতদিয়া রেলস্টেশন এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে কতিপয় বাড়িওয়ালী ও যৌনকর্মী। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বেলা ১১টায় পুনরায় তারা মানববন্ধনের জন্য জমায়েত হয়। এক পর্যায়ে ঝুমুর বেগম স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের অনুরোধে তাদের কর্মসূচী স্থগিত ঘোষণা করেন।
দৌলতদিয়া যৌনপল্লী কেন্দ্রিক সংগঠন অসহায় নারী ঐক্যে নেত্রী ঝুমুর বেগম বলেন, বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তিনিসহ যৌনপল্লীর বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছে চাঁদা দাবি করেন। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে এই কর্মসূচী পালন করেছেন। তিনি আরো বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল একজন চাঁদাবাজ। তিনি ও তার লোকজন প্রায়ই চাঁদাবাজি করে থাকেন। ইউপি চেয়ারম্যানের আর্থিক দূর্বলতাকে তাচ্ছিল্য করে তিনি বলেন, ‘পেট ভরা মানুষের অল্প খাবার দিলেই চলে, আর তার তো পেট খালি, এজন্য তার অল্পতে পেট ভরে না। এ প্রসঙ্গে দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল জানান, নির্বাচিত হয়ে গত ২ বছর তিনি দৌলতদিয়া ঘাটকে চাঁদাবজি মুক্ত করার লক্ষ্যে তার সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছেন। ইতিমধ্যে এ সকল কারণে তিনি হত্যাচেষ্টার হাত থেকেও ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেয়েছেন। যৌনপল্লী এবং এর আশপাশে মাদকের অবাধ বেচাকেনা চলে। এটি বন্ধের জন্য তিনি তৎপর হওয়াতে একটি মহল তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে বলে তিনি জানান।