কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায় সাধারন মানুষের মাঝে দূর্যোগ কালিন সময়ে পূর্ববতী প্রস্তুতি ও ঝুঁকি হ্রাসে সতর্কীকরণ এবং জনসচেতনতা বাড়াতে আজ ১৩ ডিসেম্বর সোমবার সকালে মহেশখালী উপজেলা হল রুমে মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও বেসরকারী এনজিও সংস্থা ইউনিসেফ এবং একলাবের যৌথ সহযোগিতায় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শরীফ বাদশা, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জহির উদ্দিন,উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রহমান খান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মর্কতা ভবরনজন দাশ, ইউনিসেফ জেলার সিফরডি অফিসার আতাউল গণী ওসমানী, একলাবের জেলার হেডঅফ অপরেশন মোঃ রাশেদুল ইসলাম, ছোট মহেশখালীর ইউপি চেয়ারম্যান জিহাদ বীন আলী, শাপলাপুরের আব্দুল খালেক চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন র্কাযালয়ের উপসহকারী জামাল উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধা সালেহ আহমেদ, প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল বশর পারভেজ, সহ বিভিন্ন সরকারী র্কমর্কতা, এনজিও কর্মর্কতা ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, দূর্যোগ ঝুৃকি কমিয়ে আনতে আমাদের পূর্ব পরিকল্পনার পাশাপাশি সাধারন মানুষদের মাঝে জন সচেতনতা বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে হবে স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনদের। এক কথায় বলতে গেলে এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের কষ্ট এবং ক্ষয়ক্ষতি যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা। কেন না প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠেকানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, তবে হ্যা, আমরা আন্তরিক ও সামষ্টিগত ভাবে চেষ্টা করলে, আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করলে হয়তো এর ফ্রিকোয়েন্সী কমে আসতে পারে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কাজের তিনটি স্তর রয়েছে; দুর্যোগ, পুর্ববর্তী, প্রস্তুতি।
যেমন…প্রশিক্ষণ প্রনয়ণ, কর্মশালা এবং জরুরি সতর্কতা প্রেরন। উদাহরনঃ জলোচ্ছ্বাসের সময় করনিয় কি, আগাম বার্তা প্রেরণ। দুর্যোগ চলাকালিন সময় করনীয়। যেমন; উদ্ধারকাজ, প্রাথমিক চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান, আশ্রয় প্রদান ইত্যাদি। আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছাতে সাহায্য করা, কেউ কোন আঘাত পেলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।
দুর্যোগ পরবর্তী পদক্ষেপ। যেমনঃ রিলিফ প্রদান, ক্ষতি কাটিয়ে আবার নতুন করে উন্নয়নে সহযোগিতা করা এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।