পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)’র অসহযোগিতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে উল্লেখ করে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতৃবৃন্দরা সরকারের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করেছেন সাধারণ জনগণের পক্ষে, কোন নির্দিষ্ট জাতি-গোষ্ঠীর পক্ষে চুক্তি করেননি। শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে সকল সম্প্রদায়ের জন্য কিন্তু পাহাড়ী-বাঙালীসহ সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা বিশ^াস আনতে ব্যর্থ হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। তাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক মনোভাব রয়েছে। নানা ইস্যুতে জএসএস’র অসহযোগিতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে ধীরগতিতে রুপ নিয়েছে।
আজ শনিবার (১১ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় অতীতে সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি অন্যন্য ভূমিকা রাখায় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২যুগ পূর্তিতে রাঙামাটি সম্মিলিত পেশাজীবি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রদান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতৃবৃন্দদের সাম্প্রদায়িক মনোভাব পরিহার করে তিনি আরো বলেন, চুক্তি স্বাক্ষরকারী আওয়ামীলীগ সরকারের সাথে সম্পর্ক অবনতি ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের একের পর এক হত্যা করে, পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্ঠি করে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তিনি জেএসএস’র নেতাকর্মীদেও পাহাড়ে শান্তির লক্ষে আওয়ামীলীগ সরকার ও সকল প্রশাসনের বিরুদ্ধে গালমন্দ পরিহার ও অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের আহব্বান জানান।
আলোচনা সভা শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২যুগ পূর্তিতে রাঙামাটি সম্মিলিত পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষথেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সম্পাদন ও বাস্তবায়নে অন্যন্য ভূমিকা রাখায় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এসময় রাঙামাটি সম্মিলিত পেশাজীবি সংগঠনের আহব্বায়ক ওয়াদুদ ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, প্রবীন সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহম্মদ, রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবি সংগঠনের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম মুন্না প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।