• শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
জীবনে পরিশ্রম না করলে সফলতা অর্জন করা যায় না -অংসুই প্রু মারমা বান্দরবানে সাধারণ ছাত্র সমাজের সংবাদ সম্মেলন সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ চার যুবক গ্রেফতার বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতের পতাকাতলে শামিল হোন- অধ্যাপক আহসান উল্লাহ দীঘিনালাতে মেধাবৃত্তি শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও গুণীজন সংবর্ধনা দেওয়া হয় চন্দ্রঘোনায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত গুইমারায় অগ্নি দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদল কর্মী ওসমানের পাশে জামায়াত সাংবাদিক সহ সকল পেশার মানুষের সহযোগিতা চাইলেন রাজস্থলী ও চন্দ্রঘোনা থানার নতুন ওসি তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে ৩ জন নতুন চেয়ারম্যান ৩১ দফা নিয়ে মহালছড়িতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের আগমন নেত্রকোনায় মানবকল্যাণ কামনা করে সূর্য পূজা উদযাপন রামগড়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

২৪ বছরেও ভূমি জরিপ হয়নি পার্বত্য চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ৫৯৮ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১

পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের বাধা: তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ২৪ বছরেও ভূমি জরিপ কাজে শুরু থেকেই বাধা দিয়ে আসছে পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো। সংশ্লিষ্টরা জানান, ভূমি জরিপের কাজ শুরু করতে গেলে সন্ত্রাসীরা কর্মকর্তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে নানা চেষ্টা তদবির করে তাদের উদ্ধার করা হয়।

এ কারণে ভূমি জরিপ বন্ধ রয়েছে। অথচ দেশের বাকি জেলার সব উপজেলায় ভূমি জরিপ কার্যালয় আছে। সেখানে এসি ল্যান্ডের নেতৃত্বে ভূমিসংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। অধিকাংশ পাহাড়ি এই অচলাবস্থা মানতে পারছেন না। একারণে তাদের মধ্যেও অসন্তোষ আছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, ভূমি জরিপের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা কাজ বন্ধ করে দিয়ে পাহাড়িদের ক্ষতি করেছে। কোথাও ভুল হলে তা তারা ধরিয়ে দিতে পারতো। কাজ বন্ধ করে দিয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি করলে সমাধান আসবে না। স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, পার্বত্যাঞ্চলে পাহাড়ি ও বাঙালির জনসংখ্যা প্রায় সমান। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন, ২০০১-এর সংশোধিত আইন (২০১৬) পাশ হওয়ার পর তিন পার্বত্য জেলা থেকে ভূমি কমিশন বরাবর ২২ হাজার ৯০টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের ষষ্ঠ বৈঠক হয়। একই বছরের ২৩ ডিসেম্বর কমিশনের সপ্তম বৈঠকে আবেদন যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কমিশন তা করেনি। এ নিয়ে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। একই কারণে বর্তমান ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের প্রতি বাঙালিদের আস্থাও কমে গেছে। তাই নতুন বিধিমালা তৈরির পূর্বে ভূমি কমিশনের কার্যক্রম শুরু হলে তাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা ভবিষ্যতে দাঙ্গায় পরিণত হতে পারে। এ কারণে বিধিমালা প্রণয়নের পূর্বেই ভূমি কমিশনে আবেদনকৃত অভিযোগসমূহ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখা প্রয়োজন বলে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা জানান।

এদিকে ভূমি কমিশনের বর্তমান বিধিমালায় কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিশনের সচিবসহ অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদসমূহের ক্ষেত্রে উপজাতীয় ব্যক্তিদের নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে। যা কমিশনের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। অপরদিকে আশির দশকে তৎকালীন শান্তিবাহিনীর অপতৎপরতার কারণে ১৯৮৬ সালে বাঙালিদের গুচ্ছগ্রামসমূহে স্থানান্তর করা হয়। কালের পরিক্রমায় বাঙালিদের ফেলে যাওয়া অধিকাংশ জমি উপজাতীয়রা দখল করে নেয়। খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার ৫ নম্বর বাবুছড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত সোনামিয়া টিলা নামক স্থানে ৮১২ ভুক্তভোগী বাঙালি পরিবারের জমি উপজাতীয়দের দখলের ঘটনা এর মধ্যে অন্যতম।

২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সোনামিয়া টিলার খাস ভূমির বেশ কিছু অংশ দখল করে ইউপিডিএফের (প্রসিত) প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদতে স্থানীয় উপজাতীয়রা কৌশলে বসতি গড়ে তোলে। বিষয়টি বাঙালিদের নজরে এলে বিভিন্ন সময়ে তারা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করার পাশাপাশি তাদের নামে বরাদ্দকৃত ভূমিতে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। এর প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে ভূমি উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। তা এখনো কার্যকর হয়নি।

সূত্র- ইফতেখারুল ইসলাম, পূর্বকোণ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ