বেলুন উড়ানো,মোটর শুভাযাত্রা,আনন্দ শুভাযাত্রা, কেক কাটাসহ নানা আয়োজনে কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে খাগড়াছড়িতে ২য় তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী পালন করেছে পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
পার্বত্য চুক্তিতে পাহাড়ে বসবাসরত বাঙ্গালীদের অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে। বিতর্কিত ও সংবিধান বিরোধী ধারা সমূহ বাতিলে সরকারের হস্তক্ষেপ জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন,আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। অধিকার আদায়ে অবরোধ কর্মসুচীসহ বৃহত্তর আন্দোলনের আর কোন বিকল্প নেই।আমরা সরকার বিরোধী আন্দোলন নয়,অধিকার আদায়ের আন্দোলন করতে চাই।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে খাগড়াছড়ি অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া আলোচনা সভায় খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ লোকমান হোসাইনের সঞ্চালনায় ও জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী মজিবুর রহমান। প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুইয়া। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির। এছাড়া অনুষ্ঠানে ছাত্র বিষয়ক মনিটরিং কমিটির কমিটির প্রধান শেখ আহমেদ রাজু, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য এডভোকেট আলম খান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনিছুজ্জামান ডালিম, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য এস এম মাসুম রানা,মহিলা পরিষদের সভানেত্রী সালমা আহম্মেদ মৌ,কেন্দ্রীয় ছাত্র পরিষদের সভাপতি শাহাদাত সাকিব, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উল্লাহ আসাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও মহিলা পরিষদের মনিটরিং কমিটির প্রধান অধ্যক্ষ আবু তাহের।
পাহাড়ে আঞ্চলিক সংগঠনের নামে চাঁদাবাজী, হত্যা ও গুমের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বক্তাগন বলেন, পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি,খুন গুমের কারণে পাহাড়ের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। জনসংহতি সমিতির একটি গ্রুপ থেকে এখন ৪টি গ্রুপে বিভিক্ত হয়ে বছরে শত কোটি টাকার চাঁদাবাজি,নিরীহ বাঙ্গালীদের হয়রানী,জমিজম বেদখল,গুচ্ছগ্রামের মানুষকে নিজ ভুমিতে যেতে বাঁধা দিচ্ছে। চুক্তির দোহাই দিয়ে আঞ্চলিক পরিষদ,জেলা পরিষদ,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন,ল্যান্ড কমিশন,টাস্কফোর্সসহ সকল নেতৃত্ব কর্তৃত্ব,চাকুরী ,ব্যবসা-বাণিজ্যে ও সকল সুযোগ সুবিধা পাহাড়ীরা একচেটিয়াভাবে ভোগ করছে। সমাবেশে থেকে পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার,তিন পার্বত্য জেলায় র্যাবের ইউনিট স্থাপন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পার্বত্য কোটা চালুর দাবী জানানো হয়।
এর আগে জেলা শহরের চেঙ্গী স্কোয়ার থেকে শহরে বিশাল মোটর শোভাযাত্রা ও র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের নারিকেলবাগান,শাপলা চত্বর, আদালত সড়ক হয়ে অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।