খাগড়াছড়ি.র ৭ ইউনিয়নে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের প্রচার প্রচারনা।
আগামী রোববার (২৮নভেম্বর ২০২১ইং ) খাগড়াছড়ি জেলার ৭ ইউপিতে অনুষ্টিত হবে ভোট গ্রহন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আজ মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা। তাই প্রচারণার শেষ দিনে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা।
খাগড়াছড়ি,র মহালছড়ি ও দিঘীনালা উপজেলার ৭ ইউপিতে প্রচার-প্রচারণার শেষ মুহুর্তে নৌকার প্রার্থীদের চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও পিছিয়ে নেই।
জানা গেছে,মহালছড়ি ৪ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ জন প্রার্থী । এর মধ্যে মহালছড়ি সদর ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে লড়ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল, বিদ্রহী প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন আওয়ামীলীগের যুগ্ন- সাধারন সম্পাদক লাব্রেচাই মারমাা (আনারস) প্রতিক নিয়ে,মাইসছড়ি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন লিডার, নৌকা প্রতিক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদে’র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: আল আমিন হাতপাখা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিদ্রোহ প্রার্থী, বর্তমান মাইসছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সাজাই মারমা।
মুবাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী কংজরী মারমা নৌকা প্রতিক নিয়ে লড়ছেন মুবাছড়ি বর্তমান চেয়ারম্যান বাপ্পি খীসা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ( আনারস) প্রতিক নিয়ে ক্যায়াংঘাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অন্যকোন প্রার্থী না থাকায় আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী রুপেন্দ্র চাকমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রচারণায় নৌকার পক্ষে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পড়েছে । তবে পিছিয়ে নেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। দেশে এখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে। মানুষ এখন আর বোকা নয়, উন্নয়ন বুঝে পেতে যে নৌকার বিকল্প নেই, তা এখানকার মানুষ জানে।তাই আমরা আশাবাদী আগামী ২৮ নভেম্বর নির্বাচনে নৌকা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে বলে জানান মুবাছড়ি ইউপি’র আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী কংজরী মারমা।
মহালছড়ি ৪ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৮জন,সংরক্ষিত ৪৫সদস্য সাধারন সদস্য ৭০জন মনোনয়নপএ জমাদেন।চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী রুপেন্দ্র চাকমা ক্যায়াংঘাট ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।মহালছড়ি ৪ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৯ জন সাধারন সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের ৬জন বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন
খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন অফিসার মো:সাইদুর রহমান বলেন, জেলার ৭টি ইউপিতে ভোট গ্রহণে সকল প্রস্তুতি সম্পণ্ন করা হয়েছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও মহালছড়ি উপজেলায় ২জন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও দিঘীনালা উপজেলায় ১ জন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
মহালছড়ি ও দিঘীনালা ৭ ইউপি নির্বাচনে ৬৩টি কেন্দ্রের ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে মোট ভোটার ৯৩ হাজার ৪শ,২৪ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।