খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলায় চার ইউনিয়নে আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্টিতব্য ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারনা। নিজের পছন্দের প্রতীক নিয়ে প্রার্থীরা ছুটে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
বিএনপির প্রার্থী ছাড়া উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে সরকার দলীয় প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার দলের বিদ্রোহীরা। নৌকার প্রার্থীরা নির্বাচনী সভা করে সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরছেন ভোটারদের কাছে। আর বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দাবি করেছেন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা নির্বাচনী সভায় ভোটারদের কাছে বর্তমান সরকার আমলে মহালছড়ি উপজেলায় যে সমস্ত উন্নয়ন করেছে তা ভোটারদের মাঝে উপস্থাপন করে নিজের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির নানা দিক তুলে ধরেছেন।
মহালছড়ি চার ইউপিতে প্রচার-প্রচারণায় শীর্ষে রয়েছেন মহালছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মহালছড়ি সদর ইউপি’র বর্তমান চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল ও মাইসছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো গিয়াস উদ্দিন লিডার, মহালছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক লাব্রেচাই মারমা আনারস প্রতিক নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে মাঠে ভোট করছেন।
মাইসছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে উন্নয়নের কথা বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন মাইসছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো:গিয়াস উদ্দিন।অপর দিকে মাইসছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সাজাই মারমা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো: আল আমিন হোসেন হাতপাখা প্রতিকের কোন প্রচারণা মাইসছড়ি চোখে পড়েনি,মুবাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটের মাঠে নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন কংজরী মারমা অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠ চসে বেড়াচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান বাপ্পি খীসা চাকমা, ক্যায়াংঘাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কোন প্রার্থী না থাকায় নৌকা প্রতিক নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বে-সরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আওয়ামীলীগের প্রার্থী রুপেন্দ্র দেওয়ান চাকমা।
মহালছড়ি ইউনিয়নের মতো কর্মীসভা, বর্ধিত সভা ও উঠান বৈঠকসহ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে ভোটের মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন উপজেলার অন্য তিন ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী সহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
এদিকে উপজেলা সবকটি ইউনিয়নেই দলীয় পদ হারানোর তোয়াক্কা না করেই ভোটের মাঠে নিজেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোষণা করেছেন অনেক মনোনয়ন বঞ্চিতরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট চেয়ে নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরছেন তারা।
আর প্রতীক বরাদ্দের পরে মহালছড়ি উপজেলার চার ইউপিতে প্রার্থীদের মাঠে সরগরম দেখে গ্রাম গঞ্জের হাটে বাজারে ও চায়ের দোকানে জমে উঠেছে নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা।
মনোনয়ন বঞ্চিত এক প্রার্থী মহালছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক লাব্রেচাই মারমা আওয়ামী লীগের পদে থেকেও দলীয় নির্দেশ অমান্য করে নিজেকে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ঘোষণা করে প্রাচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
মহালছড়ি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সুসমিকা চাকমা বলেন, উপজেলার চার ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ২৬ ও সাধারণ সদস্য পদে ৭০ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। চেয়ারম্যান পদে ক্যায়াংঘাট ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রুপেন্দ্র চাকমা সহ মহালছড়ি চার ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সাধারন সদস্য পদে ১৯ সংরক্ষিত পদে ৬ সদস্য বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
মহালছড়ি ইউনিয়নে ৩৬টি ভোট কেন্দ্রের ১০৩টি বুথে ৩৪ হাজার ২৯৫জন ভোটার তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৩৩জন ও নারী ভোটার ১৬ হাজার ৭৬২জন।