খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মুবাছড়ি বনবিহারে আজ ৩০ অক্টোবর ৩য় তম কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে।
এ সময় সংঘ প্রধান হিসেবে রাঙামাটি বন বিহার আবাসিক ভিক্ষু সংঘ প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির সকালের পর্বে প্রধান ধর্মদেশক, গামারি ঢালা বন বিহারাধ্যক্ষ বোধিপাল মহাস্থবির, মিলনপুর বন বিহারাধ্যক্ষ শ্রদ্ধাতিষ্য মহাস্থবির ও মুবাছড়ি বন বিহারের বিহারাধ্যক্ষ সুমনাতিষ্য মহাস্থবির উপস্থিত ছিলে।
এসময় পঞ্চশীল গ্রহন, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, বুদ্ধ মূর্তি দানসহ নানাবিধ দানানুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।
বিকালের পর্বে মূল অনুষ্ঠান বুদ্ধের প্রধান সেবিকা বিশাখা কর্তৃক প্রবর্তিত রীতি অনুযায়ী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বুননকৃত চীবর ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশ্যে দান ও সকল জীবের হিতার্থে উপস্থিত সংঘের ধর্মীয় দেশনা প্রদান, সমবেত প্রার্থনা ও সন্ধ্যায় চুলা মনি চৈত্যকে পূজা করার উদ্দেশ্যে ফানুস উত্তোলন করা হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান উপাসক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী।
প্রধান উপাসক বলেছেন যে,বর্তমান সরকার সম্প্রীতির বন্ধনে আমাদের প্রত্যেককে সহনশীল হতে হবে। অন্য সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আমাদের ছোটবেলার শিক্ষাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। সেগুলোকে ফিরিয়ে আনতে হবে। উদার মনের মানুষ হতে হবে। সম্প্রীতির মাধ্যমে সহিংসতা রোধে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রধান উপাসক আরো বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশের সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে বলেছেন।
তাই সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ একযোগে কাজ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান।
এ ছাড়া আরো বিশেষ দায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহালছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য নীলোৎপল খীসা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ও খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি টিকো চাকমা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি কমলবিন্দু চাকমা,মুবাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাপ্পী খীসা, মুবাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অংসাথোয়াই মারমা, মহালছড়ি সরকারি কলেজের প্রভাষক জ্ঞান চাকমা।