শফিক ইসলাম, মহালছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মহালছড়ি উপজেলা মাইসছড়ি ইউনিয়নের লেমুছড়ি মাঠে বৈসাবি উৎসবের আগমন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হলো বিজুকাপ ফুটবল টূর্নামেন্ট -২০২৫ এর উদ্বোধন।
বুধবার (২ এপ্রিল) বিকাল ৩:৩০ ঘটিকায় মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী পটপট্ট্যা ক্লাব মাঠে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ টূর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।
টূর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসংস্থান বিষয়ক সহ-সম্পাদক এবং খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার, যুগ্ম-সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য অনিমেষ চাকমা (রিংকু), সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব রাজা, মহালছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ।জহিরুল হক সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ওয়াদুদ ভূইয়া তার বক্তৃতায় বলেন, “এ ধরনের টুর্নামেন্ট যুব সমাজকে সুস্থ দেহ ও মনের অধিকারী করে তুলতে সহায়ক। খেলাধুলা কেবল শরীরিক উন্নতি ঘটায় না, এটি সমাজে একতা ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা করতেও সহায়ক।” তিনি সকল খেলোয়াড়দের শুভকামনা জানিয়ে বলেন, “খেলাধুলা জীবনের মূল্যবান অংশ। বিজুকাপ ফুটবল টূর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারীরা প্রতিযোগিতা করে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করবেন এবং পাহাড়ে বসবাসরত সকল সেতুবন্ধন তৈরি হবে।”
এসময় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক অনিমেষ চাকমা নিজেস্ব চাকমা সম্প্রদায়ের ভাষায় বক্তব্য কালে বলেন, পটপট্যা ও বদনালা ক্লাব গুলো আমাদের নেতা ওয়াদুদ ভূইয়া মহোদয় সংসদ সদস্য ও তিন পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকা করে দিয়েছে, কিন্তু স্বৈরাচারী হাসিনার দোসর কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা কোন উন্নয়ন করেনি, যার প্রমান জর্রাজীর্ন এই ক্লাব গুলো, তবে তিনি তার নিজের উন্নয়ন সাধন করেছেন, সম্পদের পাহাড় গড়ে পালিয়েছেন। সামনের নির্বাচনে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তবে অতীতের ন্যায় আবারো আপনাদের এলাকার উন্নয়নের করা হবে।
উদ্ভোধনের আগে উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুরুল ইসলামের ছেলের বিবাহ অনুষ্টানে যোগ দেন এবং উদ্ভোধন শেষে খাগড়াছড়ি ফেরার সময় বদনালা ক্লাবের সামনে চাকমা, মারমা,ত্রিপুরা,বাঙ্গালি গ্রামবাসীর ফুলের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অসংখ্য দর্শক উপস্থিত ছিলেন এবং উচ্ছ্বাসের মধ্যে ম্যাচগুলো উপভোগ করেন।
পাহাড়-বাঙ্গালীরা এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে খেলাধুলার প্রতি যুবসমাজের আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।