গঙ্গাপূজা ও বারুণীস্নান, বেনারসের পর ২য় গঙ্গাপূজা হয় বাংলাদেশের বান্দরবানে।
প্রতিবছর হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হয়, সাঙ্গু নদী তীরবর্তী এই মহতী ধর্মানুষ্ঠানে।স্থান: গঙ্গা পূজার ঘাট, বান্দরবান সাঙ্গু নদীর চত্ত্বরে-আয়োজনে: আশীর্বাদ সংঘ, বান্দরবান।
গঙ্গাকে মানবতার মা হিসেবে দেখা হয়। তীর্থযাত্রীরা তাদের আত্মীয়স্বজনের ভস্ম গঙ্গা নদীতে বিসর্জন দেন, যা তাদের মতে আত্মাদের (শুদ্ধ আত্মাদের) মোক্ষের কাছাকাছি নিয়ে আসে , জীবন ও মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি। গঙ্গার তীরে অবস্থিত বেশ কয়েকটি পবিত্র স্থানে গঙ্গা দশেরা এবং গঙ্গা জয়ন্তীর মতো উৎসব পালিত হচ্ছে ।
মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে ২৬ মার্চ থেকে বান্দরবান চৌধুরী মার্কেট সংলগ্ন সাঙ্গু নদীর তীরে শুরু হচ্ছে ৩ (তিন) দিনব্যাপী মহাপুণ্য শ্রী শ্রী গঙ্গাপূজা ও বারুণী স্নান অনুষ্ঠান।
বুধবার থেকেই গঙ্গা পূজার উদযাপন কমিটি আর্শিবাদ সংঘের উদ্যোগে= ২৬-২৭- ২৮ শে মার্চ ৩ দিনব্যাপী শ্রী শ্রী গঙ্গা মায়ের বোধন, মহানাম যজ্ঞের শুভ অধিবাস, মহানামযজ্ঞ, বারুণীপূজা ও বারুণী স্নান, গঙ্গা মায়ের পূজা, ভোগারতি, গঙ্গামায়ের সন্ধ্যারতি, গঙ্গা আরতি ও হাজার প্রদীপ নিবেদন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আনন্দবাজারে মহাপ্রসাদ আস্বাদনসহ নানা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
২৬ শে মার্চ বুধবার উষালগ্নে মহানামযজ্ঞ শুভারম্ভ, ভোর ৫ টা হতে বারুণী পূজা ও বারুণী স্নান শুভারম্ভ! >সকাল ১০টায় শ্রী শ্রী গঙ্গামায়ের পূজারম্ভ, দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে ভোগারতি, দুপুর ১টায় আনন্দবাজারে মহাপ্রসাদ আস্বাদন, সন্ধ্যা ৬টায় শ্রী শ্রী গঙ্গা মায়ের সন্ধ্যারতি, ৬টা ৩০মিনিটে মহানামযজ্ঞের পূর্ণাহুতি, সন্ধ্যা ৭টায় গঙ্গামায়ের আরতি ও হাজার প্রদীপ নিবেদন, রাত ৮টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাত ৯ টায় আনন্দবাজারে মহাপ্রসাদ আস্বাদন।
২৮ শে মার্চ শুক্রবার সকাল ৮ টায় পুষ্পাঞ্জলী শেষে সাঙ্গু নদীতে প্রতিমা বিসর্জন এর মাধ্যমে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সমাপ্তি ।
আশীর্বাদ সংঘ এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতি বছর মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীর তিথিতে মহাপুণ্য লগ্নে গঙ্গা মায়ের পূজা ও বারুণী স্নান উপলক্ষ্যে আর্শীবাদ সংঘ বর্ণাঢ্য আয়োজন করে থাকে।
পুণ্য তিথিতে গঙ্গাস্নান করলে মানবের সকল প্রকার পাপ মোচন হয়। তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল লোকজন এই গঙ্গা পূজা ও বারুণীস্নানে অংশ গ্রহণ করে জীব ও জগৎ এর মঙ্গল কামনা করেন। হিন্দু সম্প্রদায় ছাড়াও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজার হাজার পূর্ণার্থীগণ সাঙ্গু নদীতে গঙ্গা মায়ের চরণে ভক্তি নিবেদন করে পুণ্য ও পাপ মুক্তি লাভের আশায় বারুণী স্নানে অংশ গ্রহণ করবেন।