• মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বরকলে ছাত্র অধিকার পরিষদ’র ভূষণছড়া ইউনিয়ন কমিটি গঠিত প্রণোদনা ও আইন দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছেনা লামা-আলীকদমে জ্যামিতিক হারে বাড়ছে তামাক চাষ রামগড় ৪৩ বিজিবির অভিযানে চারশ কার্টুন ভারতীয় সিগারেট জব্দ রামগড়ে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে র‍্যালি খাগড়াছড়িতে জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা অনুষ্ঠিত দীঘিনালায়  জাতীয় ভোটার দিবস পালিত পবিত্র রমজান মাসে বাজারে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে বাজার মনিটরিং করছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনায় মহালছড়িতে পালিত হলো জাতীয় ভোটার দিবস-২০২৫ আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে বাজারে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে বাজার মনিটরিং করছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত নবাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান’র দায়িত্ব গ্রহণের ৩ বছর পূর্তিতে খতমে কুরআন ও দোয়া মাহফিল পানছড়িতে ৩ বিজিবির বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ

বৈষম্যমূলক বদলি, লামার ৮৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবানঃ / ৩৩৩ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৫

 

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবানঃ

প্রাথমিক শিক্ষার বদলি নিয়ে বান্দরবানের লামা উপজেলায় শিক্ষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিগতদিনে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে উর্ধ্বতনদের প্রভাব, রাজনৈতিক সুপারিশ ও স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে শিক্ষক বদলিতে। লামা উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৮৫টি। পাহাড়ি উপজেলা হওয়ায় কিছু স্কুলে যোগাযোগ ভালো, কিছু স্কুল খুবই দুর্গম এলাকায় অবস্থিত।

জানা যায়, লামা উপজেলায় দুই শতাধিক শিক্ষক—শিক্ষিকা শহর থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে পাঠদান করান। এমনও শিক্ষক—শিক্ষিকা আছেন, যাদের চাকুরির বয়সসীমা শেষ পর্যায়ে। শেষ বয়সে শহরে বা বাড়ির পাশাপাশি এলাকায় চাকুরি করার জন্য বার বার কর্তৃপক্ষের কাছে ধরণা দিচ্ছেন। কিন্তু কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না। কেউ কেউ দুর্গম স্কুলে দুই যুগের বেশি সময় চাকরি করছে। ক্ষমতা, প্রভাবশালী স্বজন ও রাজনৈতিক সুপারিশ না থাকায় তাদের বদলি হচ্ছেনা।

ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা এই বৈষম্যের প্রতিকার চেয়ে বহুবার শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত আবেদন করেও কোন সমাধান পায়নি।

লামা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির কয়েকজন নেতৃবৃন্দ নাম না প্রকাশ করা সত্ত্বে বলেন, কিছু শিক্ষক দিনের পর দিন দুর্গমে চাকরি করছে, আর অনেকে বছরের পর বছর শহরে চাকরি করছে। যার ভালো লবিং আছে শহরের আশপাশে আছেন। যাদের মামা-খালুর জোর নাই তারা দুর্গমে পড়ে আছে। এই বৈষম্যের প্রতিকার চায় সাধারণ শিক্ষকরা।

এদিকে বুধবার (২২ জানুয়ারি) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই লামা উপজেলা পরিদর্শন করেন। তিনি বান্দরবান পার্বত্য জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সর্বসত্তা। লামায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের শুভাগমন উপলক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ও সরকারী শিক্ষকরা দীর্ঘদিনের এই বৈষম্যমূলক বদলির অবসান চান।

লামার সুবিধাবঞ্চিত কয়েকজন শিক্ষক বলেন, শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান না হলে, তারা মানববন্ধন, স্মারকলিপি সহ নানা আন্দোলনে যাবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ