• সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
লামায় ১৫ দিনের ব্যবধানে ফের ২০ শ্রমিককে অপহরণ বান্দরবানে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবাসহ দুজনের যাবজ্জীবন বান্দরবানে সীমান্তে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার অসহায় মানুষের প্রতি করুণা নয়, তাদের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক দায়িত্ব – পলাশ ধর লামায় শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন রামগড়ে যুব রেড ক্রিসেন্টের সমন্বয় সভা অনু্ষ্ঠিত  রামগড় ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গাঁজাসহ আটক ১ বান্দরবানের সেনা সহায়তায় নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছে কুকি চিনের তান্ডবে ঘরছাড়া গ্রামবাসীরা মানিকছড়িতে কার্প জাতীয় মাছের নার্সারি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কাপ্তাইয়ে ক্রিকেট ট্যালেন্ট হান্ট দ্বিতীয় পর্ব প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় সন্মানে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহানের চিরবিদায় রামগড় ৪৩ বিজিবির অভিযানে  ভারতীয় সিগারেটের ফিল্টার জব্দ

বৈষম্যমূলক বদলি, লামার ৮৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবানঃ / ২৯৮ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৫

 

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবানঃ

প্রাথমিক শিক্ষার বদলি নিয়ে বান্দরবানের লামা উপজেলায় শিক্ষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিগতদিনে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে উর্ধ্বতনদের প্রভাব, রাজনৈতিক সুপারিশ ও স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে শিক্ষক বদলিতে। লামা উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৮৫টি। পাহাড়ি উপজেলা হওয়ায় কিছু স্কুলে যোগাযোগ ভালো, কিছু স্কুল খুবই দুর্গম এলাকায় অবস্থিত।

জানা যায়, লামা উপজেলায় দুই শতাধিক শিক্ষক—শিক্ষিকা শহর থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে পাঠদান করান। এমনও শিক্ষক—শিক্ষিকা আছেন, যাদের চাকুরির বয়সসীমা শেষ পর্যায়ে। শেষ বয়সে শহরে বা বাড়ির পাশাপাশি এলাকায় চাকুরি করার জন্য বার বার কর্তৃপক্ষের কাছে ধরণা দিচ্ছেন। কিন্তু কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না। কেউ কেউ দুর্গম স্কুলে দুই যুগের বেশি সময় চাকরি করছে। ক্ষমতা, প্রভাবশালী স্বজন ও রাজনৈতিক সুপারিশ না থাকায় তাদের বদলি হচ্ছেনা।

ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা এই বৈষম্যের প্রতিকার চেয়ে বহুবার শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত আবেদন করেও কোন সমাধান পায়নি।

লামা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির কয়েকজন নেতৃবৃন্দ নাম না প্রকাশ করা সত্ত্বে বলেন, কিছু শিক্ষক দিনের পর দিন দুর্গমে চাকরি করছে, আর অনেকে বছরের পর বছর শহরে চাকরি করছে। যার ভালো লবিং আছে শহরের আশপাশে আছেন। যাদের মামা-খালুর জোর নাই তারা দুর্গমে পড়ে আছে। এই বৈষম্যের প্রতিকার চায় সাধারণ শিক্ষকরা।

এদিকে বুধবার (২২ জানুয়ারি) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই লামা উপজেলা পরিদর্শন করেন। তিনি বান্দরবান পার্বত্য জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সর্বসত্তা। লামায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের শুভাগমন উপলক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ও সরকারী শিক্ষকরা দীর্ঘদিনের এই বৈষম্যমূলক বদলির অবসান চান।

লামার সুবিধাবঞ্চিত কয়েকজন শিক্ষক বলেন, শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান না হলে, তারা মানববন্ধন, স্মারকলিপি সহ নানা আন্দোলনে যাবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ