সুস্বাদু ফল হিসেবে অনেকেই কুল পছন্দ করেন। বান্দরবানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বল সুন্দরী, ভারত সুন্দরী কুল, কাশ্মিরি কুল, নারকেলী কুল, আপেলকুলসহ নানান জাতের কুল চাষ হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে চাষিরা বল সুন্দরী ও ভারত সুন্দরীকে বেঁচে নিয়েছেন। বাগান করে অনেকেই পেয়েছেন সফলতার সন্ধান। বর্তমানে কুলের বাজারদর ভালো হওয়ায় দিন দিন কুলের আবাদ বাড়ছে। তাই কুল চাষ করতে আগ্রহ বাড়ছে পাহাড়ের কৃষকদের। বান্দরবান ছাড়া রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতেও কুল চাষ বাড়ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে জেলা সদরে – আকা বাঁকা পথে উচুতে কিংবা পুকুরে পারে বাড়ির টবে একটু উচু পাহাড় ঘেঁষে দেখা যাবে পাতা উল্টে সাজানো বরই কুল,কারনা মন চায় ১টি পেরে মুখে চিফ মারি – ডলুপাড়া ও রেইচা এলাকা সরজমিনে রেইচা গোয়ালিয়াখোলা, ক্যামলং, বাঘমারা, হানসামাপাড়া, ভাইঙ্গাসহ – ছোটমনি চাকমা বলেন, বাগান দেখতে অনেক দশনার্থী আসেন। ঘুরে যাওয়ার সময় হাতে করে দুই-তিন কেজি কিনে নিয়ে যান। এভাবে বাগানেই ফর বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে অনেক ব্যবসায়ী ও বন্ধুরা দেখতে আসছে এবং কিনে নিয়ে যায়। কুল চাষ করে অনেকের ভাগ্য বদল হচ্ছে।
ফল দেখতে সুন্দর ও স্বাদে ভালো হওয়ায় আগ্রহী হচ্ছেন শিক্ষক, বিভিন্ন চাকরিজীবি ও বেকার তরুণ উদ্যোক্তারাও। কুল চাষের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করছেন। সাঙ্গু নদীর পাড় ও ঘরের আঙ্গিণার আশপাশের সমতল জমিতে কুল চাষ গড়ে উঠছে। আবার কেউ অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করছেন।
শহরের উত্তর খবংপড়িয়া বাগান ঘুরে দেখা যায়, আট মাস বয়সী চার থেকে পাঁচ পুট উচ্চতার একটি গাছে থোকায় থোকায় চোখ জুড়ানো ঝুলছে কুল। কুলের ভারে গাছের ডাল মাটিতে ভেঙে পড়ছে। পাকা কুল পাখি খেতে না পারে সেই জন্য বাগানের চারপাশে নেট দিয়ে ডেকে রাখা হয়েছে। বিক্রির জন্য চাষিরা বাগান থেকে কুল ছিঁড়ে ঝুঁড়িতে রাখছেন। বাগান দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রকৃতিপ্রেমীদের ভিড়।
উৎপাদন খরচ ও পরিশ্রমের তুলনায় কুল চাষ অত্যন্ত লাভজনক। একটি চারা গাছ ৬ মাস বয়সেই ফল দেওয়া শুরু করে।
বান্দরবান পাড়ায় পাড়ায় চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের বলসুন্দরী বরই বাগানের কুল সংগ্রহ করছেন বাগানীরা।
বান্দরবানে বলসুন্দরী বরই চাষে ভাগ্য ফিরেছে তিন পাহাড়ি যুবকের। তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের এই যুবকরা সম্পর্কে তিন ভাই। তাদের ছোটজন দীপ্তিময় তঞ্চঙ্গ্যা চলতি বছর ২২ লাখ টাকার বরই বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন।
জানা গেছে, ২০২২ সালের শুরুর দিকে বান্দরবান সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের রেইচা সাতকমল পাড়ায় পৈতক পাঁচ একর পাহাড়ি জমিতে বরই চাষ শুরু করেন। জমিতে – ২ হাজার টি বলসুন্দরী বরইয়ের কলম চারা রোপণ করেন। যা খুলনার পাইকগাছা থেকে অনলাইনে অর্ডার করে সংগ্রহ করা হয়েছিল। অন্য কাজের ফাঁকে বড়ভাই রাজুময় তঞ্চঙ্গ্যা, মেঝ ভাই সাজুময় তঞ্চঙ্গ্যা এবং ছোটভাই দীপ্তিময় তঞ্চঙ্গ্যা তিন ভাই মিলে আলোচনা করে বাগানটি গড়ে তোলেন। সফল চাষি দীপ্তিময় তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, গত বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বাগান
যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও ৬ লাখ টাকার বরই বিক্রিয় করা হয়েছিল। এ বছর পরিবেশ অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় ৪ গুণ বেশি ফলন হয়েছে। যার ফলে এবারে এই বাগান থেকে প্রায় ২২ লাখ টাকার বরই বিক্রি করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করছেন। তিনি আরও বলেন, বাগানে বলসুন্দরী ছাড়াও কাশ্মীরি বরই চারা লাগানো হয়েছে। বাগানে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতি চারা ৭০ টাকা হিসেবে। ৪৫ হাজার ৫শ টাকা খরচ হয়েছিল। লাগানো, সার ও পরিচর্যাসহ সবমিলে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মত খরচ হয়। বর্তমানে তাদের বাগানে দুই হাজারেরও বেশি বলসুন্দরী জাতের বরই গাছ রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১৯ শ গাছে ফলন এসেছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা বাগানের বরই কেনার জন্য বাগান পরিদর্শন করেছে। গতবছর ৭০/ ৮০ টাকা কেজি দরে পাকা বরই এবং ৩০০ টাকা কেজি দরে শুকনো বরই বিক্রি করেছিলাম।
অসীম রায় (অশ্বিনী)
বান্দরবান “” 01820030466
পাহাড়ে কুল চাষে কৃষকদের ভাগ্য বদল,
সুস্বাদু ফল হিসেবে অনেকেই কুল পছন্দ করেন। বান্দরবানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বল সুন্দরী, ভারত সুন্দরী কুল, কাশ্মিরি কুল, নারকেলী কুল, আপেলকুলসহ নানান জাতের কুল চাষ হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে চাষিরা বল সুন্দরী ও ভারত সুন্দরীকে বেঁচে নিয়েছেন। বাগান করে অনেকেই পেয়েছেন সফলতার সন্ধান। বর্তমানে কুলের বাজারদর ভালো হওয়ায় দিন দিন কুলের আবাদ বাড়ছে। তাই কুল চাষ করতে আগ্রহ বাড়ছে পাহাড়ের কৃষকদের। বান্দরবান ছাড়া রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতেও কুল চাষ বাড়ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে জেলা সদরে – আকা বাঁকা পথে উচুতে কিংবা পুকুরে পারে বাড়ির টবে একটু উচু পাহাড় ঘেঁষে দেখা যাবে পাতা উল্টে সাজানো বরই কুল,কারনা মন চায় ১টি পেরে মুখে চিফ মারি – ডলুপাড়া ও রেইচা এলাকা সরজমিনে রেইচা গোয়ালিয়াখোলা, ক্যামলং, বাঘমারা, হানসামাপাড়া, ভাইঙ্গাসহ – ছোটমনি চাকমা বলেন, বাগান দেখতে অনেক দশনার্থী আসেন। ঘুরে যাওয়ার সময় হাতে করে দুই-তিন কেজি কিনে নিয়ে যান। এভাবে বাগানেই ফর বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে অনেক ব্যবসায়ী ও বন্ধুরা দেখতে আসছে এবং কিনে নিয়ে যায়। কুল চাষ করে অনেকের ভাগ্য বদল হচ্ছে।
ফল দেখতে সুন্দর ও স্বাদে ভালো হওয়ায় আগ্রহী হচ্ছেন শিক্ষক, বিভিন্ন চাকরিজীবি ও বেকার তরুণ উদ্যোক্তারাও। কুল চাষের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করছেন। সাঙ্গু নদীর পাড় ও ঘরের আঙ্গিণার আশপাশের সমতল জমিতে কুল চাষ গড়ে উঠছে। আবার কেউ অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করছেন।
শহরের উত্তর খবংপড়িয়া বাগান ঘুরে দেখা যায়, আট মাস বয়সী চার থেকে পাঁচ পুট উচ্চতার একটি গাছে থোকায় থোকায় চোখ জুড়ানো ঝুলছে কুল। কুলের ভারে গাছের ডাল মাটিতে ভেঙে পড়ছে। পাকা কুল পাখি খেতে না পারে সেই জন্য বাগানের চারপাশে নেট দিয়ে ডেকে রাখা হয়েছে। বিক্রির জন্য চাষিরা বাগান থেকে কুল ছিঁড়ে ঝুঁড়িতে রাখছেন। বাগান দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রকৃতিপ্রেমীদের ভিড়।
উৎপাদন খরচ ও পরিশ্রমের তুলনায় কুল চাষ অত্যন্ত লাভজনক। একটি চারা গাছ ৬ মাস বয়সেই ফল দেওয়া শুরু করে।
বান্দরবান পাড়ায় পাড়ায় চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের বলসুন্দরী বরই বাগানের কুল সংগ্রহ করছেন বাগানীরা।
বান্দরবানে বলসুন্দরী বরই চাষে ভাগ্য ফিরেছে তিন পাহাড়ি যুবকের। তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের এই যুবকরা সম্পর্কে তিন ভাই। তাদের ছোটজন দীপ্তিময় তঞ্চঙ্গ্যা চলতি বছর ২২ লাখ টাকার বরই বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন।
জানা গেছে, ২০২২ সালের শুরুর দিকে বান্দরবান সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের রেইচা সাতকমল পাড়ায় পৈতক পাঁচ একর পাহাড়ি জমিতে বরই চাষ শুরু করেন। জমিতে – ২ হাজার টি বলসুন্দরী বরইয়ের কলম চারা রোপণ করেন। যা খুলনার পাইকগাছা থেকে অনলাইনে অর্ডার করে সংগ্রহ করা হয়েছিল। অন্য কাজের ফাঁকে বড়ভাই রাজুময় তঞ্চঙ্গ্যা, মেঝ ভাই সাজুময় তঞ্চঙ্গ্যা এবং ছোটভাই দীপ্তিময় তঞ্চঙ্গ্যা তিন ভাই মিলে আলোচনা করে বাগানটি গড়ে তোলেন। সফল চাষি দীপ্তিময় তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, গত বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বাগান
যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও ৬ লাখ টাকার বরই বিক্রিয় করা হয়েছিল। এ বছর পরিবেশ অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় ৪ গুণ বেশি ফলন হয়েছে। যার ফলে এবারে এই বাগান থেকে প্রায় ২২ লাখ টাকার বরই বিক্রি করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করছেন। তিনি আরও বলেন, বাগানে বলসুন্দরী ছাড়াও কাশ্মীরি বরই চারা লাগানো হয়েছে। বাগানে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতি চারা ৭০ টাকা হিসেবে। ৪৫ হাজার ৫শ টাকা খরচ হয়েছিল। লাগানো, সার ও পরিচর্যাসহ সবমিলে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মত খরচ হয়। বর্তমানে তাদের বাগানে দুই হাজারেরও বেশি বলসুন্দরী জাতের বরই গাছ রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১৯ শ গাছে ফলন এসেছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা বাগানের বরই কেনার জন্য বাগান পরিদর্শন করেছে। গতবছর ৭০/ ৮০ টাকা কেজি দরে পাকা বরই এবং ৩০০ টাকা কেজি দরে শুকনো বরই বিক্রি করেছিলাম।