বান্দরবানে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে হায়দার আলী (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
১৪ ই জানুয়ারি মঙ্গলবার বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অরুন পাল এ আদেশ প্রদান করেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত হায়দার আলী (৩৫) রাঙ্গামাটি চন্দ্রঘোনা রাইখালি ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খন্তাকাটা এলাকার মৃত লতিফুর রহমানের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে রাঙ্গামাটির বাঙ্গারখালিয়া এলাকার নুরুল ইসলামের মেয়ে রিজিয়া পারভিন অরুপে রুপা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় একই জেলার রাইখালি ইউপির মৃত লতিফুর রহমানের ছেলে হায়দার আলীর। শশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে যায় রিজিয়া। সেখান থেকে ২০২১ সালের ৭ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টায় বাঙ্গালখালিয়া তার চাচির বাড়ি যাবার কথা বলে ঘর থেকে বাহির হয়ার পর থেকে তাকে আর খুজে পাওয়া যায়নি পর দিন ৮ আগস্ট বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়কের বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউপির গলাচিপা এলাকায় রাস্তার পাশে হাত-পা বাঁধা ও গলা কাটা অবস্থায় তার মরদেহটি পাওয়া যায়। মৃত রাজিয়ার বাবা নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে ওই দিন রিজিয়ার কথিত প্রক্তন প্রেমিক কাজল হোসেনের বিরুদ্ধে বান্দরবান সদর থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশের তদন্তে রিজিয়া পারভিন হত্যাকাণ্ডে স্বামী হায়দার আলীর সম্পৃক্ততা পায়। আদালতে বিভিন্ন স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণে এই হত্যাকান্ড রিজিয়ার স্বামী হায়দার আলী ঘটিয়েছে তা প্রমাণিত হওয়ায় বাদি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক আজ এই রায় প্রদান করেন। বাদি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হত্যা মামলাটি প্রমাণিত হওয়ায় অসামী হায়দার আলীকে দন্ডবিধি ৩০২ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেছেন আদালতের বিচারক অরুন পাল। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ২ মাস কারাদণ্ড প্রদান করেন এবং আসামি হায়দার আলীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।