• শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
দীঘিনালায় ভাঙ্গা ঘরে কষ্টে দিন কাটছে অসহায় আহমদ আলী পরিবারের রামগড়ে চার মাংস ব্যবসায়ীকে জরিমানা গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন-সভাপতি আজু শিকদার, সম্পাদক শহিদুল ইসলাম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নতুন ঘর নির্মাণ করে দিলেন যামিনীপাড়া জোন রামগড়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে দুই ব্যবসায়ীকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা খাগড়াছড়ি বন বিভাগ দু’টি বন মোরগ উদ্ধার করে অবমুক্ত করলো প্রাকৃতিক বনে মাটিরাঙ্গা জোনে মাসিক নিরাপত্তা ও মতবিনিময় সভা পাহাড়ে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে সেনাবাহিনীর সহায়তা বিতরণ লংগদু জোনের উদ্যোগে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা মানিকছড়িতে ইয়ুথ গ্রুপের কর্ম অভিজ্ঞতা ও ত্রৈমাসিক সভা লংগদুতে সরকারি চাল মজুদ রাখার অভিযোগে তিন ব্যবসায়ীকে নগদ অর্থদন্ড নববর্ষের শোভাযাত্রায় ইয়েন ইয়েনের দেশবিরোধী প্ল্যাকার্ড নেওয়ায় পিসিসিপি’র বিক্ষোভ

কুকিচিনের তাণ্ডবে নেই পর্যটক, জীবন-জীবিকা নিয়ে দিশেহারা 

অসীম রায় (অশ্বিনী) বান্দরবানঃ / ১২৮ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৫

 

 

বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকিচিনের সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির মুখে ধস নেমেছে বান্দরবানে পর্যটন শিল্পে। নিরাপত্তার স্বার্থে নিষেধাজ্ঞার কবলে পর্যটনের ভরা মৌসুমেও রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি একেবারেই পর্যটক শূন্য। এতে আয়-রোজগারের ঘাটতিতে দিশেহারা পাহাড়িরা, করছেন মানবেতর জীবনযাপন।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের দ্বিতীয় পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডংয়ে শুনসান নীরবতা। কোথাও কেউ নেই! অথচ পর্যটনের এই ভরা মৌসুমে মুখরিত থাকার কথা ছিল পাহাড়ের এই প্রান্তর। পর্যটনকে কেন্দ্র করে জীবিকা নির্বাহ করা এখানকার মানুষজনের জীবনও যেন ঝিমিয়ে পড়েছে। রোজগার না থাকায় জীবনের ছন্দই যেন হারিয়ে ফেলেছেন তারা।

 

পাহাড়িরা ও বাঙালিরা জানান, এই মৌসুমে কিছুটা আয়-রোজগার হয় তাদের। যা দিয়েই চলে বছরের বাকিটা সময়। কিন্তু এখনই নেই কোনো পর্যটক। এতে স্থানীয় ব্যবসায় পড়েছে ভাটা। লগ্নি খাটিয়ে তা হারানোর শঙ্কায় তারা।

 

তারা বলেন, এই মৌসুমে পর্যটকদের কাছে হাতের তৈরি অনেক জিনিসপত্র বিক্রি হয়, যা দিয়েই চলে অনেক পরিবার। এখন সবাই হাহাকারে। পাহাড়ে কুকিচিনের উৎপাত বাড়ায় ভয়ে কেউ আসে না।

 

শুধু কেওক্রাডং পযর্টকশুন্য তা কিন্তু নয়। বান্দরবান পার্বত্য জেলার দর্শনীয় স্থানের জন্য সুপরিচিত রুমা, থানচি এবং রোয়াংছড়িতে এখনো যাওয়ার অনুমতি মিলেনি পর্যটকদের। জারি রয়েছে জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা।

 

এখানকার বাসিন্দারাও রয়েছেন একই সমস্যায়। পাহাড়িদের মালিকানাধীন কটেজগুলো পড়ে আছে খালি। বাজারগুলোতে নেই তেমন অর্থনৈতিক কার্যক্রম। স্থবির আনাগোনা। তাদের তৈরি মাফলার, চাঁদর, কম্বল থেকে যাচ্ছে অবিক্রিত। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সহিংসতার কারণে প্রশাসনের কঠোরতার কারণেই ভুক্তভোগী বলে জানান তারা।

 

কুকিচিন প্রধান ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকার মোস্ট ওয়ান্টেড নাথান বম বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভারতে অবস্থান নিলেও তার অনুসারীরা বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাহাড়িদের।

 

মোবাইল ফোনে অভিনব কৌশলে চলছে এই চাঁদাবাজি। এই নির্যাতন থেকে বাদ যাচ্ছে না সাধারণ জুমচাষি থেকে শুরু করে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

 

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই বলেন, আমরা তাদের বয়কট করেছি। প্রতিহতের চেষ্টা করছি। তবে গহীন জঙ্গলে গিয়ে তারা তৎপরতা চালায়। সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে এই অবস্থার মোকাবিলা করতে হবে।

 

পুলিশ সুপার শহীদুল্লা কাওসার বলেন, তারা এখন দূর থেকে তৎপরতা চালাচ্ছে। মোবাইল ফোনে হুমকি দিচ্ছে। আমরা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। তারা যে সিমগুলো ব্যবহার করেন তার কোনো হদিস পাওয়া যায় না। তবে পাহাড়ে তাদের রুখতে পুলিশ সব সময় প্রস্তুত।

 

উল্লেখ্য, বান্দরবানের সাত উপজেলায় মোট জনসংখ্যা চার লাখ ৮১ হাজার। এরমধ্যে সরাসরি এক লাখ মানুষ পর্যটনের সঙ্গে জড়িত। আর বেশিরভাগ পাহাড়ি জুমচাষি হিসেবে পরিচিত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ