মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবানঃ
লামার সরই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড পূর্ব বেতছড়া পাড়ায় ১৬টি মাচাং ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন ও বান্দরবান পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার, পিপিএম(বার)। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে লামায় আসেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। পরিদর্শন শেষে দুপুরে লামা থানায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার, পিপিএম(বার) বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীসহ অন্যান্য আসামীগণ বাদী গুঙ্গামনি ত্রিপুরা ও ভিকটিমগণের নিকট হতে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। দাবীকৃত চাঁদা না পাওয়ায় গত ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং রাতে বাদী ও অন্যান্য ভিকটিমগন বাড়ীতে না থাকার সুযোগে আসামীগণ রাত অনুমান ১২টা হতে ১টার মধ্যে মাচাং ঘরে আগুন ধরিয়ে দিলে ১৬টি মাচাং ঘর পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়। যাতে অনুমান ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হয়।
বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে লামা থানার মামলা নং-০৮, তারিখ-২৬/১২/২০২৪ইং রুজু করা হয়। মামলা রুজু হওয়ার সাথে সাথে পুলিশ সুপার, বান্দরবান দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামী গ্রেফতার করার নির্দেশনা প্রদান করেন। উক্ত বান্দরবান নির্দেশনা মোতাবেক বান্দরবান জেলা ও লামা থানা পুলিশের তৎপরতায় এজাহারনামীয় ০৭(সাত) জন আসামীর মধ্যে আসামী ১। স্টিফেন ত্রিপুরা ২। মসৈনিয়া ত্রিপুরা ৩। যোয়াকিম ত্রিপুরা ৪। মো. ইব্রাহিম সহ মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। করেন।
তিনি আরো বলেন, মামলার রুজু হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর ঘর পোড়া মামলার উক্ত আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীগণ চাঞ্চল্যকর ঘর পোড়া মামলার ঘটনা সংগঠনের কথা স্বীকার করে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন ও অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের নিমিত্তে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন প্রেরণ করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে লামার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের দুইটি গ্রুপের আধিপত্য ও দ্বন্দ্বের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গতরাত অভিযান চালিয়ে ৪ জন আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে। আসামীদের রিমান্ড চাইবে পুলিশ।