• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
কাপ্তাই বিএসপিআই এ কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণমিছিল  মাটিরাঙার বড়নালে ঐতিহ্যবাহী ‘ধ’ খেলায় মেতেছে মারমা জনগোষ্ঠি রাঙামাটিতে পিসিসিপি’র বৈশাখী শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত বর্ণিল আয়োজনে কাপ্তাইয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত  ইয়াবা কারবারি দুই সহোদর গ্রেপ্তার, অধরা মুল হোতা! বৈসাবির রঙ্গে রঙ্গিন পাহাড়…গুইমারাতে বর্ণাঢ্য সাংগ্রাই র‌্যালিতে নিজস্ব ঐতিহ্য তুলে ধরলো মারমা সম্প্রদায় খাগড়াছড়ি বন বিভাগ বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর প্রাকৃতিক বনে অবমুক্ত করে সাংগ্রাইকে স্বাগত জানিয়ে মানিকছড়িতে মঙ্গল শোভাযাত্রা কাপ্তাইয়ে সিক্স এ সাইড প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন  গুইমারায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত যুবদল নেতা রবিউলের শয্যাপাশে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ বান্দরবানে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মারমা নববর্ষ মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ উদযাপন রাঙ্গুনিয়ায় ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সুর এবং ছন্দের তালে মাতোয়ারা দর্শক     

লামায় ১৬ ত্রিপুরার জুমঘর ভস্মীভূত

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবানঃ / ১৯৬ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবানঃ

বান্দরবানের পার্বত্য উপজেলা লামায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৬টি জুম ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টা থেকে পৌনে ১টার মধ্যে উপজেলার সরই ইউনিয়নে পূর্ববেতছড়া টঙ্গঝিরি এলাকায় এই অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ১৬টি ত্রিপুরা পরিবার এখন নিঃস্ব। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে তাদের খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে। গতকাল বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুপায়ন দেব। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের জেলা প্রশাসনের পক্ষে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং তাৎক্ষণিক একটি করে কম্বল ও ১ বস্তা করে চাল দেন।

লামা থানার ওসি (তদন্ত) এনামুল হক ১৬টি জুমঘর পুড়ে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এই ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়রা জানান, পূর্ববেতছড়া টঙ্গঝিরিতে পুলিশের সাবেক আইজিপি পলাতক বেনজির আহমেদের একটি বাগান বাড়ি ছিল, যা এসপির বাগান নামে পরিচিত। বেনজির আহমেদের সেই জায়গায় বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কিছু ত্রিপুরা পরিবার গিয়ে ছোট ছোট জুমঘর তুলে বসবাস করছিলেন। ওই জায়গার দখল কর্তৃত্ব নিয়ে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের নিজেদের মধ্য দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এ নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর টঙ্গঝিরি পূর্ব বেতছড়া পাড়ার বাসিন্দা গুঙ্গামনি ত্রিপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

জিডিতে তিনি ৮ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অস্ত্র, চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। অভিযুক্তরা হলো স্টিফেন ত্রিপুরা, পিতা- জগমন, সাং- ছবিচন্দ্র পাড়া, ২. মসৈনিয়া, পিতা- গবিন্দ্র ত্রিপুরা, সাং- টঙ্গঝিরি পাড়া, ৩. যোয়াকিম ত্রিপুরা, পিতা- জগমন, সাং- হবিচন্দ্র পাড়া, ৪. সুরেন্দ্র ত্রিপুরা, পিতা- বাশাত ত্রিপুরা, সাং- কলাঝিরি পাড়া, আলীকদম, বর্তমান সাং- গাজন পাড়া, ৫. শিমিয়ন ত্রিপুরা, পিতা- স্টিফেন ত্রিপুরা, সাং- ছবিচন্দ্র পাড়া, সর্ব ইউনিয়ন- ৫নং সরই, সর্ব ওয়ার্ড নং-০৮, সর্ব থানা- লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জন।

গঙ্গামনি তার ডায়েরিতে আরো উল্লেখ করেন, পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে বাসিন্দাদের অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করে আসছে। এর আগেও একাধিকবার বিবাদীরা পাড়ার অসহায় লোকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্নজনের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে নিয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, অগ্নিকাণ্ড ওই সন্ত্রাসীরাই ঘটিয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে একটি মহল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ