শফিক ইসলাম,মহালছড়ি প্রতিনিধিঃ ১৪ ডিসেম্বর শনিবার মযথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে মহালছড়িতে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সূর্যোদয়ের সাথে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা উত্তোলন (অর্ধনমিত) করা হয়, ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চন্দ্র রায় বিশেষ অতিথী হিসেবে ছিলেন উপজেলা সহকারি ভূমি কমিশনার সালেহ আহমেদ,থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন সহ সকল সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সমন্বয়কবৃন্দ সহ গণমাধ্যম কর্মীরা।
আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধারা ৭১-এর ১৪ ডিসেম্বরে গণহত্যার নানান স্মৃতি চারণ করে এ দিনের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং একই সঙ্গে ২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের স্মরণ করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে সব মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কথা বিশদভাবে তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথীর বক্তব্যকালে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়ই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। তিনি উল্লেখ করেন যে দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীদের নির্মম হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশের মুক্তির জন্য রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে সকলকে। সেই সাথে তিনি ভূয়া মুক্তিযুদ্ধাদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানান।