• মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান নানা আয়োজনে বান্দরবানে শান্তি চুক্তির ২৭তম বর্ষপর্তি উদযাপন কাতারে গণিত প্রতিযোগিতায় লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের উছাইওয়াং-এর সাফল্য গোয়ালন্দে জেলের জালে ৫২ কেজি ওজনের বাগাড় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন-অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ প্রাকৃতিক ও নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য আর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের এক রূপময় ভূ-খণ্ড পার্বত্য চট্টগ্রাম–ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহেদী হাসান মহালছড়ি সেনা জোন কতৃক ফ্রি চিকিৎসা সেবা,বিনামূল্যে ঔষধ ও শীত বস্ত বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৭তম বর্ষপূর্তি উদযাপন, গণসমাবেশ ও র‍্যালী করলো পার্বত চট্টগ্রাম চুক্তির এক পক্ষ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি খাগড়াছড়ি জোনের আওতাধীন পানছড়ি আর্মি ক্যাম্প কর্তৃক বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্পেইন কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে বার্মিজ অজগর সাপ অবমুক্ত চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারী পরোয়ানাভূক্ত ২ জন আসামী গ্রেফতার কাপ্তাইয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিদর্শনে অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম 

রাঙামাটিতে কমলা চাষে সফল সুদত্ত চাকমা

মেহেদী ইমাম, রাঙামাটি প্রতিনিধি: / ১৩ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪

মেহেদী ইমাম, রাঙামাটি প্রতিনিধি:

রাঙামাটিতে ইউটিউব দেখে কমলা চাষ করে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন এক পাহাড়ি কৃষক। তিনি স্থানীয় একজন মৌজা হেডম্যান। বেশ চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে এই কমলা। পাহাড়ে কমলা চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছে এই কমলা চাষি।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার তৈ চাকমা মৌজার হেডম্যান সুদত্ত চাকমা নিজের পড়ে থাকা জমিতে কমলা চাষ করেছেন। এতে সাফল্য পেয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি।

জানতে চাইলে সুদত্ত চাকমা জানায়, ইউটিউব দেখেই প্রথমে কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হন তিনি। পরে রাঙামাটি থেকে চারা ক্রয় করে কমলার চাষ শুরু করেন স্থানীয় এই হেডম্যান। বিশাল এই কমলা বাগানে রয়েছে তার ৮০০টি কমলা গাছ। নিয়মিত করেন বাগানের পরিচর্যা। তার এই বাগানে রয়েছে দুই জাতের কমলা। একটি দার্জিলিং কমলা অপরটি চায়না ছোট জাতের কমলা।

তিনি আরো জানান, প্রায় ৪বছর আগে তিনি কমলা চাষ শুরু করেন। এবছর বাগানটি সে ৩লক্ষ ৮০হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। আগামী বছর আনুমানিক ১০লক্ষ টাকার অধিক বিক্রি করার কথাও জানান তিনি। কমলার চাষে সাফল্য পাওয়ার পর এবার তিনি চারা উৎপাদন করেছেন। প্রতিপিস ৪০০টাকা মূল্যে দার্জিলিং কমলার চারা বিক্রির কথাও জানান এই কমলা চাষি।

চারা বিক্রির বিষয়ে তিনি জানান, আমি প্রথমে চারা কিনে ঠকেছি। পরে ভালো মানের চারা পাওয়ায় আমি বাগান সাজাতে পেরেছি। আমার মতো কেউ যাতে না ঠকে তাই চারা উৎপাদনের বিষয়টি মাথায় আসে। আমার কাছে চায়না ছোট জাতের কমলা ও বড় সাইজের দার্জিলিং জাতের কমলা চারাও রয়েছে।

স্থানীয় মিজানুর রহমান জানান, এই বাগানের কমলা গুলো সাইজে বেশ বড় এবং সুস্বাদু। বাগানের পাশেই বিক্রি হচ্ছে এই কমলা। তবে কিনতে গেলে এই কমলার জন্য গুনতে হচ্ছে চড়া মূল্য। কেজিপ্রতি মূল্য ধরা হয়েছে ৪০০-৪৫০টাকা। ৪টি কমলাতেই হচ্ছে এক কেজি বা তার বেশি। সে হিসেবে প্রতিটি কমলার মূল্য পড়ে যাচ্ছে ১০০টাকা বা তার বেশি। দাম কিছুটা কম হলে জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার আওতায় আসবে সুস্বাদু এই ফল।

চড়া মূল্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সুদত্ত চাকমা জানান, আমি এবার বাগানের ফল বিক্রি করে দিয়েছি। যার নিকট বিক্রি করেছি সে আবার অন্য এক ব্যক্তির নিকট ৬লক্ষ টাকা মূল্যে বিক্রি করেছে। ওই ব্যক্তিও অন্য আরেক ব্যক্তির নিকট ১১লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছে। এখন ওই ব্যক্তি হয়ত দাম পুষিয়ে নিতে এই দামে বিক্রি করছে।

এবিষয়ে নানিয়ারচর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা তপু আহমেদ জানান, নানিয়ারচরে এবার ১২৫হেক্টর জমিতে কমলার ফলন এসেছে। সেই হিসেবে ১হাজার মেট্রিক টন কমলার ফলন এসেছে। লেবু জাতীয় ফল নিয়ে আমাদের কৃষি বিভাগের একটি প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্পটি শেষের দিকে। তবে আগামীতে আবারো এজাতীয় কোন ফলের প্রকল্প গ্রহনের ও পরিকল্পনা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ