শফিক ইসলাম, মহলছড়ি প্রতিনিধি:
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ সকল প্রকার প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সাধারণ মানুষের তথা ভোক্তা-ক্রেতা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করে নিত্যপণ্যের বাজার মূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে নিয়মিত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলা বাজার মনিটরিং করেছেন মহালছড়ি উপজেলা কমিশনার সহ বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত ‘বিশেষ টাস্কফোর্স’ কমিটির কর্মকর্তাগণ
শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মহালছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব মোঃ সালেহ আহম্মেদ বাজারের হোটেল-রেস্তোরা, মুদি দোকান, চালের আড়ৎ ও কাঁচা বাজার মনিটরিং করেন।
মহালছড়ি বাজার মনিটরিং কালে প্রতিটি দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা ভোক্তার নিকট প্রদর্শন করেন কিনা,নির্ধারিত দাম নিচ্ছেন নাকি অতিরিক্ত নিচ্ছেন, পণ্যার মেয়াদ আছে কিনা,হোটেলের পিছনে খাবার প্রস্তুত করার স্থানে সহ ফ্রিজ ও ব্যবহারকৃত আসবাপত্র পরিস্কার পরিচ্ছন্ন আছে কিনা এসব বিষয় তদারকি করেন এবং যে সকল দোকানে পণ্য মূল্য তালিকা নেই আজকের মধ্যে তা প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়ে মহালছড়িতে যাতে কোন ব্যবসায়ূ অসাধু ব্যবসায়ী হয়ে না উঠেন সে বিষয়ে সতর্ক করেন এবং বিনাকারণে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা দেন।
অসঙ্গতি পাওয়ায় বাজারের ৩ টি দোকানে যথাক্রমো চন্দন স্টোর ২০০০ টাকা, ভাই ভাই স্টোর ২০০০ টাকা, কবির স্টোর কে ২০০০ টাকা জড়িমানা করা সহ সর্বশেষ বারের মত সর্তক করা হয়।
এ সময় মহালছড়ি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সালেহ আহম্মেদ সহ উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব নুর মোহাম্মদ রসূল, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার প্রমিত কুমার চাকমা, মহালছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি দীপক সেন ও বাজার সভাপতি ডাঃ প্রদীপ চৌধুরী ছাড়াও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত ‘বিশেষ টাস্কফোর্স’ কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী কমিশনার(ভূমি) বাজার মনিটরিং শেষে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, পণ্যর মূল্য রশিদ অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্য ভোক্তার নিকট বিক্রয় করবেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য দোকানে রাখবেন না, এবং বিএসটিআই ছাড়া কোন পণ্য বিক্রি করবেন না। মহালছড়ি বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে আপনাদের সহযোগিতা অব্যশই কাম্য,
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ সাপ্লাই চেইন তদারকি ও পর্যালোচনার জন্য বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে যে দাম আছে সেগুলো যাচাই করে দেখছি ও তাদেরকে সতর্ক করছি। পরবর্তীতে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তাদেরকে ম্যাসেজ দিচ্ছি, ভোক্তা ও খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে যাতে দাম বেশি বেড়ে না যায় এবং সে দামটা যেন সহনীয় পর্যায়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য অভিযান পরিচালনা করছি।আজকে মূলত তাদেরকে সতর্ক করেছি। তবে প্রশাসনের পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসতে হবে