জয়পুরহাট, বাংলাদেশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ইং
জয়পুরহাটে এক বাড়ির লোকজনকে বেঁধে রেখে ডাকাতির মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি আরেকটি ধারায় তাদের সবাইকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার দাসরা খাঁপাড়ার সূর্য ফকিরের ছেলে ফজলু, মৃত আমের আলীর ছেলে তাজেল, সদরের পূরানাপৈল এলাকার মৃত ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে মুকুল হোসেন পাংকু, কোচনাপুরের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও হামছায়াপুর পালির দোলোয়ার হোসেনের ছেলে মিঠুন হোসেন। এদের মধ্যে ফজুল, মুকুল ও মিঠুন পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২০ ফেব্রয়ারি রাতে জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদশা গ্রামের গোলাম মাহমুদ মন্ডল রাতের খাবার খেয়ে পরিবারসহ ঘুমিয়ে পড়েন। সে রাতে একদল ডাকাত তার বাড়িতে প্রবেশ করে।
এসময় তার পরিবারের লোকজনকে ডাকাতরা মারপিট করে হাত-পা বেধে রেখে স্বর্ণালংকার, টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ ও স্থানীয়রা পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ ঘটনায় ২১ ফেব্রয়ারি সদর থানায় মামলা দায়ের হলে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।