• বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বান্দরবানে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ও চুপ্পুর পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রজনতার গগণজমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিল মাটিরাঙ্গায় ডিমের পুষ্টিগুণ বিষয়ক ক্যাম্পেইন আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে মা‌টিরাঙায় বিক্ষোভ সমাবেশ কাপ্তাই ও রাঙ্গুনিয়ায় ১৭ বছর ধরে সামাজিক স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন চন্দ্রঘোনা কম্প্রিহেনসিভ কমিউনিটি হেলথ প্রোগাম নানিয়ারচরে সুদক্ষ দশের স্থানান্তর হলো ১৭ইষ্ট বেঙ্গল গোয়ালন্দে লাভছাড়া সবজি বিক্রি করলো সান -সাইন কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী রাঙ্গামাটিতে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে সনাক – টিআইবি’র অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত         যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ মানছে না জেলেরা কাগজীখোলা ফাঁড়ি, বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, আলীক্ষ্যং পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন – পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার শিশু ধর্ষণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন- পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার , পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (গণতান্ত্রিক) বান্দরবান জেলা কমিটির ২য় কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ মানছে না জেলেরা

সাইফুর রহমান পারভেজ, রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ / ৪০ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪

 

সাইফুর রহমান পারভেজ,রাজবাড়ী

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে শত শত জেলে ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে রাত দিন ইলিশ শিকার করে চলেছে। পুলিশ তৎপরতা খুবই সীমিত। প্রশাসনের অভিযান পরিচালনা করা লোকজনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নদীতে শিকার করছে ইলিশ পদ্মার বাঁকে বাঁকে হাট বসিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ইবলিশ সরেজমিন ঘুরে পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের অন্তারমোড় থেকে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের কলাবাগান ও উজানচর ইউনিয়নের চর করনেশন পর্যন্ত নদীর সব জায়গায় শতশত মৌসুমী জেলেকে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার নিয়ে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে ইলিশ শিকার করতে দেখা যায়। তবে এসময় বেশকিছু প্রকৃত জেলেকে নদীর পাড়ে তাঁবু টাঙ্গিয়ে জাল মেরামত করতে করতে অলস সময় কাটাতে দেখা যায়। এ সময় অন্তার মোড়ে জাল মেরামতকালে এরশাদ বিশ্বাস, করম আলী বিশ্বাস, মো.সবুর শেখসহ একাধিক জেলে আক্ষেপ করে বলেন, আমরা জালদরি নৌকা নিয়ে বসে আছি। অথচ শৌখিন জেলেরা রাতদিন ইলিশ ধরে হাজার হাজার টাকা বিক্রি করছে। পুলিশ তাদের কখনও আটক করতে আসে না। দৌলতদিয়া ঘাট নৌ-ফাঁরিপুলিশ ও গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় প্রয়োজনীয় নৌযান ও পর্যাপ্ত অর্থনৈতিক বাজেট না থাকায় ইলিশ রক্ষা অভিযান পুরাপুরি সফল করা সম্ভব হচ্ছে না। জেলেদের শক্তিশালী ইঞ্জিনচালিত ট্রলারের সাথে আমার

প্রশাসনের দুর্বল বোর্ড কুলিয়ে উঠতে না পারায় জেলেদের আটক করা সম্ভব হয় না।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছোটভাকলার অস্তার মোড়, দেবগ্রামের কাওজানি, মুন্সী পাড়া, দৌলতদিয়ার বেপারী পাড়া, বাহের চর দৌলতদিয়া, কলাবাগান, করনেশোনা সহ পদ্মার পাড়ে প্রতিনিয়ত ইলিশ বেচা-কেনা হচ্ছে। প্রতি কেজি ইলিশ ৩শ থেকে ১৫শ টাকায়। দৌলতদিয়া ঘাটের কয়েক কিলোমিটার পূর্বে পদ্মা পাড়ের দুর্গম চড়ে জেলেদের ইলিশ বেচাকেনার অভয় কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত আড়ত রয়েছে। ওই আড়তে সব সময় শতশত কেজি ইলিশ হাজার হাজার টাকায় অবাধে বিক্রি হয়ে থাকে। এখান থেকে ব্যাপারীর পাইকারি দরে কিনে বিভিন্ন হাট বাজারে নিয়ে যায়। তবে এদের প্রতিরোধে থানা পুলিশ বা প্রশাসনের কোনো তৎপরতা নেই বললেই চলে। নৌ-পুলিশ নদীতে অভিযান চালালেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই কম। গত রোববার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা নদীতে অভিযানে গেলে জেলেরা তাদের উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে। তাদের মারমুখী ভুমিকায় মৎস্য কর্মকর্তারা পিছু হঠতে বাধ্য হন। এ দিন দৌলতদিয়া ঘাট নৌপুলিশ ৪ জেলেকে আটক করে ইউএনওর কার্যালয়ে নিয়ে এলে তাদেরজেল জরিমানা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মাঝে মাঝে অভিযান করা হচ্ছে। নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে নৌযান সংকটে অভিযান পুরাপুরি সফল করা সম্ভব হচ্ছে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ