আরিফুল ইসলাম রিয়াজ, মোল্লাহাট, বাগেরহাট:
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে সুপারি চোরকে ধরে মারপিট করাকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাত যুবক ও দুই গৃহবধুকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার মোল্লারকুল গ্রামের পশ্চিম পাড়া দুর্গা মন্দির এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
গত শুক্রবার রাত ১২ টার সময় মুসলমান সম্প্রদায়ের দুই ছেলেকে চুরি করার অপরাধে মারপিটের জেরে রবিবার দুপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাত যুবক ও দুই গৃহবধূকে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় আহতদের মোল্লাহাট ও গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ করে ভুক্তভোগী জয়ন্ত দাস ও সাগর বসু জানান, শুক্রবার রাত ১২ ঘটিকায় মোল্লারকুল গ্রামের সুধীর দত্তের গাছ থেকে সুপারী চুরি করা অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়ে একই গ্রামের হোসাইন মোল্লা ও ফাহিম মোল্লা। চুরি করার অপরাধে তাদেরকে মারপিট করে পশ্চিমপাড়া দুর্গা মন্দিরে আটকে রাখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ছুটে আসে আটকৃতদের পরিবার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। তাদের হস্তক্ষেপে ঘটনাটি মিমাংসা করা হয়। তবে, পূজার পরে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছিলো বলেও জানান ভুক্তভোগীদের পরিবার।
শনিবার পূজা শেষ হওয়ার একদিন পর রবিবার দুপুরে হুসাইন মোল্লা, ফাহিম মোল্লা, ইসা মোল্লার সহ ২০-২৫ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহ পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়। এতে দুই গৃহবধূ ও ৭ যুবক আহত হয়। আহতরা হলেন, সুকুমার মিত্র (৩০), শিউলি বসু (২০), সুপ্রিয়া বসু(২১) জয় বসু (২৭), পল্লব মিত্র (১৯)নিতিশ ভক্ত (২৮) সুমন দাস(৩০) সবুজ মিত্র(১৯) ও সৈকত মিত্র (২১) এ হামলার পর এলাকাবাসী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকশ নারী/পুরুষ কাপালিপাড়া মন্দির চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
ওই ঘটনায় সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যথাযথ বিচারের আশ্বাস দেন ও সশরীরে প্রতিমা বিস উপস্থিত থেকে প্রতবিস বিসর্জন সম্পন্ন করেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান, লেপ্টেন ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসান, এএসপি সার্কেল মোঃ রবিউল ইসলাম শামীম, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ অধিকারী ও থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম আশরাফুল আলম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান, সদস্য সচিব মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিয়া ও বিএনপি নেতা শিকদার জামাল উদ্দিন।