নেত্রকোনা প্রতিনিধি:
একটানা বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর, কলমাকান্দা,পুর্বধলার জারিয়া, সদর উপজেলাসহ বারহাট্টা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আকস্মিকভাবে পানিতে ডুবে গেছে অন্তত পঞ্চাশটি গ্ৰাম।এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত লক্ষাধিক মানুষ। বন্যায় ফসল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। গবাদিপশুর খাদ্য সংকট ও দেখা দিয়েছে।
জেলার প্রধান প্রধান নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।সীমান্তবর্তী কলমাকান্দার উব্ধাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।পুর্বধলার জারিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার পনের সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।বারহাট্টা উপজেলার কংস নদীর পানি ও কমতে শুরু করেছে।কমছে মোহনগঞ্জ উপজেলার কংস নদীর পানি।
বন্যায় কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, বারহাট্টা,পুর্বধলা, কলমাকান্দা , দুর্গাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে আমন ধানের ক্ষেত।অথৈ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মনেই হয় না এগুলো ধান ক্ষেত। স্থানীয় কৃষকরা ফসল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা ছাড়া কোন উপায়েই এ বিশাল ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন না বলে জানান তারা।
জেলার পাঁচটি উপজেলার গ্ৰামে তলিয়ে গেছে আমন ধান। ঘরে ঘরে চলছে কৃষকের ফসল হারানোর বেদনা। বিভিন্ন গ্ৰামের বানভাসি কৃষকরা জানান, তাদের আমন জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।অকালে এসময়ে এরকম বন্যা কখনো হয়নি বলে জানান তারা। সরকারি আর্থিক সহযোগিতা না পেলে এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন না তারা।
কৃষকরা বলেন, এভাবে এইসময়ে কোনদিন অকাল বন্যা হতে দেখেননি কখনো। ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিম্ন অঞ্চল তলিয়ে গেছে। মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গবাদিপশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস জানান, তিনি ইতোমধ্যে বন্যা পীড়িত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। অসহায় মানুষের মাঝে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ঔষধপত্র বিতরণ করেন। জেলার যে কোন এলাকার বন্যা পীড়িতের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সারোয়ার জাহান বলেছেন, প্রধান প্রধান নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার অন্তত পঁচিশ গ্ৰামের লক্ষাধিক মানুষ।