অসীম রায় (অশ্বিনী) বান্দরবান:
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও পূজা অর্চনার মধ্যে দিয়ে গতকাল শুক্রবার পালিত হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার অষ্টমী ও নবমী। বান্দরবানে সকাল থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে ছিল পূজার্থীর ভিড়। প্রতিবারের মতো এবারও অষ্টমীতে কুমারী রূপে দেবী দুর্গার আরাধনা করেছেন ভক্তরা।
এছাড়াও অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে করা হয় সন্ধি পূজা। আজ দশমী পূজার মধ্যে দিনে শেষ হবে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। তবে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হবে কাল রবিবার।
অশুভ, অন্যায়, পাপ পঙ্কিলতার বিরুদ্ধে ন্যায়, পূর্ণ, সত্য ও সুন্দরের যুদ্ধ। পূজা শেষে দেবী দুর্গাকে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করা হয়। অষ্টমী শেষে সন্ধি পূজা এবং পরে নবমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। শাস্ত্রমতে নবমী তিথিতে দেবী দুর্গার হাতে বধ হয়েছিল মহিষাসুর।
মাকে প্রণাম জানানোর পাশাপাশি আগামী দিনের সুখ শান্তি ও মঙ্গল প্রত্যাশা করেন সনাতনী নারী ও পুরুষেরা।
জেলায় এবার ৩২টি পূজামন্ডপে চলছে সনাতন ধর্মালম্বীদের দুর্গাপূজা আর আগামী ১৩ অক্টোবর (রবিবার) সকালে পুস্পাঞ্জলি গ্রহণ শেষে দেবী দুর্গার প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় এই শারদীয় দুর্গোৎসবের।
বান্দরবান সার্বজনীন দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাজেশ্বর দাশ (বিপ্লব) জানান, পূজা উপলক্ষে আলোকসজ্জা, মেলার আয়োজন, আরতি প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানান কিছু চলছে। দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিতে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রস্ততি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন।
নবমী মানে অশুভ শক্তি থেকে মুক্তি। শ্রী রামচন্দ্র দুর্গার শক্তি আর আশীর্বাদ নিয়ে এই দিনে অশুভ রাবণকে বিনাশ করেছিলেন বলে একে অকাল বোধন বলা হয়। শাস্ত্রমতে, মহানবমীর দিনে নিজের মনোবাসনা জানিয়ে যজ্ঞে আহুতি প্রদান করলে ধন ও যশপ্রাপ্তি ঘটে। দুর্গাপূজার আজ বিজয়া দশমী। দেবী দুর্গার কৈলাসে ফিরে যাওয়ার দিন। সকালে দুর্গা দেবীর দশমী বিহিত পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে। পুরাণ মতে, মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত যুদ্ধের পর দশম দিনে জয়ী হন দেবী দুর্গা। এজন্যই বিজয়া। তবে এবার দশমীতে প্রতিমার বিসর্জন দেয়া হচ্ছে না। কাল বিভিন্ন স্থানে নদী কিংবা পুকুরে অথবা সমুদ্রসৈকতে বিসর্জন অনুষ্ঠান।