অসীম রায় (অশ্বিনী) বান্দরবান:
মন্দিরে মন্দিরে দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা এবং সন্ধ্যায় আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠিত । দুর্গোৎসব উপলক্ষে বান্দরবানে বইছে আমেজ।
বান্দরবান সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহেদী হাসান বলেছেন, বান্দরবানের সৌন্দর্য এখানকার সম্প্রীতি। যেখানে ধর্মবর্ণের বৈচিত্র বেশি। ৫ ই অক্টোবরের পর থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক অন্যান্য এলাকায় যেসব ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে বান্দরবানের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার কৃতিত্ব একমাত্র এখনকার সব সম্প্রদায়ের।
বান্দরবানবাসী সত্যিকারার্থে সভ্য, সুশীল। আমরা কোন বিশৃংখলা চাইনা, আমার নিজের মনের কথা বলব, কিন্তু বিশৃংখলা করে নয়। শারদীয় দূর্গা পূজা এবং আগামীতে কঠিন চীবর দান, প্রবারণা সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে করতে বান্দরবানের সব প্রশাসন আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করে যাবে। তিনি উদযাপন কমিটি আমাদের আশ্বস্থ আরো বলেন, পূজা উদয করেছেন যে, সম্প্রীতির ।
বান্দরবানে তাদের আস্থা বা নিরাপত্তার কোন কমতি নেই। সবার আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় সার্বজনীন উৎসব সফল করতে চান তারা।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বান্দরবান শহরের ঐতিহাসিক রাজার মাঠে বৃহৎ পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। ষষ্টি পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবান সদর জোন কমান্ডার এএসএম মাহমুদুল হাসান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এমএম মঞ্জুরুল হক, পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রাজেস্বর দাশ বিপ্লবসহ বিভিন্ন প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী, এ বছর দেবী দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে। পালকি বা দোলায় দেবীর আগমন বা গমন হলে এর ফল হয় মড়ক। খাদ্যশস্যে পোকা-মাকড়েরআক্রমণ হবে ও রোগব্যাধি বাড়বে।
এছাড়া দেবী স্বর্গে গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। শাস্ত্র মতে দেবীর গমন বা আগমন ঘোটকে হলে ফলাফল হয় ছত্রভঙ্গ। এটা সামাজিক ও রাজনৈতিক এলোমেলো অবস্থাকে ইঙ্গিত করে।