বান্দরবান জেলায় সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু একটি আতঙ্কের নাম। বিগত বছরগুলো থেকে চলতি বছরে এই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন জেলার বেশ কয়েকজন।
ডেঙ্গু সচেতনতা ও বিশেষ পরিষ্কার অভিযান,
শারদীয় দুর্গোৎসব -২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে ডেঙ্গু সচেতনতা ও বিশেষ পরিষ্কার অভিযান পরিচালনা করা এবং পৌরসভার সৌজন্যে অবিরাম মাইকিং করে যাচ্ছেন। উপ পরিচালক স্হানীয় সরকার বান্দরবান পার্বত্য জেলা ও বান্দরবান পৌরসভার প্রশাসক জাহিদ ইকবাল -দিক নিদর্শনায়।
বান্দরবানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এসে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার থেকে বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত আরো ১১ জন ডেঙ্গু শনাক্ত রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সেপ্টেম্বর মাসে মোট ১১৭ জন রোগী বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে ৯ জন এখনো চিকিৎসাধীন। বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. তারেকুল ইসলাম জানান, ১০০ বেডের এই হাসপাতালে ২০ জন ডেঙ্গু রোগীর ব্যবস্থাপনা করতে গিয়ে তারা হিমসিম খাচ্ছেন। তিনি জানান, পুরুষ ওয়ার্ডে আলাদা কর্ণার করে ডেঙ্গু চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হলেও মহিলা
ওয়ার্ডে রোগীর চাপে আলাদা ডেঙ্গু কর্ণার স্থাপন কঠিন হয়ে পড়ছে।
আক্রান্ত ২০ জনের মধ্যে ৫ জন শিশু থাকায় সমস্যা আরো প্রকট হয়ে উঠেছে। বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত শুধুমাত্র সদর হাসপাতালে ৩৪৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।
মুমূর্ষু অবস্থায় নিয়ে আসা একজনের মৃত্যু হয়। সিভিল সার্জন বলেন, ‘হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর প্রচন্ড চাপ হলেও চিকিৎসক-নার্সদের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে আমরা মৃত্যু কমাতে পেরেছি। আমরা আশা করছি, শীত মওসুমের আগেই পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে।’ সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসা বিষয়ে খোঁজ নিতে বুধবার বান্দরবান সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করে চিকিৎসক এবং রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাসুম বিল্লাহ।
পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে এসপি বাংলো, আল-ফারুক স্কুল, আর্মি পাড়ার অলিগলিতে মশক নিধন (লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং) কার্যক্রম।