আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার খাগড়াছড়ি
৯ বছর বয়সী শিশু মো. হানজালা হোসেন আলিফ মাত্র ৬ মাসে পবিত্র কোরআন মূখস্ত করে হাফেজ উপাধি অর্জন করে তাক লাগিয়েছেন।
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী বাজার এলাকার মো. ইসমাইল হোসেন ও গৃহীনি নারগিস বেগম’র ২পুত্র সন্তানের জ্যেষ্ঠ সন্তান মো.হানজালা হোসেন আলিফ পড়াশোনা করেন উপজেলার মহামুনিস্থ দারুন নাজাত হিফজুল কুরআন বালকক-বালিকা একাডেমিতে। গেল বছরের মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে প্রতিষ্ঠানের হেফজ বিভাগে কুরআনুল কারীম মুখস্ত করে শিক্ষকদের তাক লাগিয়ে প্রশংসা কুঁড়িয়েন হাফজ মো. হানজালা হোসেন আলিফ!
এছাড়া এই মেধাবী শিক্ষার্থী গেল বছর খাগড়াছড়ি জেলা কেরাত প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং সনদ ও ক্রেস্টসহ ৫ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে মাদরাসার বিশেষ দোয়া ও পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিষয়ক এক সেমিনারে এই শিশু হাফেজের কৃতিত্ব অর্জনে তাকে সংবর্ধিত (দস্তরবন্দী) করা হয়।
শিশু হাফেজ হানজালা হোসেন আলিফের পিতা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আল্লাহ যেন আমার পুত্রকে একজন প্রখ্যাত আলেম ও দ্বীনদার হিসেবে কবুল করেন।
আমার দ্বিতীয় পুত্র মো. হুজাইফা ইসলাম একই মাদরাসায় নূরানী ২য় শ্রেণীতে পড়ছে। সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী।
মাদরাসা পরিচালক মাওলানা মো. শরিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ফাজিল, কামিল (মাস্টার্স) সম্পন্ন করে ২০১৯ সালে ব্যক্তি উদ্যোগে দ্বীনি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখি। এখন পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানে হেফজ ও নূরানী বিভাগে আবাসিক ও অনাবাসিকে ২০৭জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে হানজারা হোসেন আলিফের মেধা ব্যতিক্রম! সে কোরআনের আয়াত মূখস্তের পাশাপাশি নিদিষ্ট কিছু আয়াত আরবি, বাংলা,উর্দু ও ইংরেজি ভাষায় তরজমাসহ ব্যাখা বিশ্লেষণেও পারর্দশী। ভবিষ্যতে সে কোরআনের প্রকৃত একজন সেবক ও ভালো ওয়াজিন(বক্তা) হবে। তার কণ্ঠ সুমধুর।