মিন্টু কান্তি নাথ, রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ
আমাদের দেশের অধিকাংশ শিশুর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা বিস্তারে দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত। যে কোনো শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে শিক্ষার মূল ভিত্তি। যেটা একজন শিশুকে ভবিষ্যতের একজন যোগ্য এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
ইতিবাচক কথা
শিশুরা খুবই স্পর্শ কাতর। তাদের মনে যখন যা করতে ইচ্ছে করে তখনি তা করতে দেয়া উচিত তাদের কখনো বাধা দেয়া যাবে না বা না বোধক শব্দ টি তাদের জন্য ব্যবহার করা উচিত হবেনা এতে কেবল শিশু মনে আঘাত পাবেনা বরং তাদের মনে যে স্বপ্ন আকা ছিল তা চিরতরে মন থেকে উঠে যাবে। কচি মনটা হয়ে যাবে স্থবির পড়ার প্রতি তার আগ্রহ হারিয়ে যাবে, ইচ্ছে টাই ডুবে যাবে সমুদ্রের অতল গভীরে যেখানে তৃষ্ণা নামের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না সব আনন্দ গুলো যেন ছবির মতো এক যায়গা য় দাড়িয়ে থাকবে। তাই আসুন কচিমনে র অবুঝ ভাষা গুলো পড়ার জন্য আমি আমরা সবাই ইতিবাচক হই। ইতিবাচক কথা বলে শিশু মনে জাগ্রত করি শিক্ষা র তৃষ্ণা , যা দিয়ে শিশু গড়তে পারে তার সুন্দর পৃথিবী , যেখানে কোনো বাধা থাকবে না থাকবে শুধু খুশি আর আনন্দ। তবে ই আসবে শিখনের স্বার্থকতা।
শিশুরা সবসময় অনুকরণ করতে পছন্দ করে। তারা অনুকরণ করেই বেশি শিখে তাই তাদের কথা মাথায় রেখে আমাদের সবসময় কথার মানদন্ড মেপে ইতিবাচক কথা বলতে হবে। আমাদের মাধ্যমেই গড়ে উঠবে আগামীর কর্ণধার। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে নতুন প্রজন্মের ধারাবাহিকতা। থাকবেনা কোনো অন্তরায়।সীমাহীন আনন্দ মুখর পরিবেশে তারা ছুটোছুটি করে শিখবে নিজের মত করে।
আর তখনই কোমলপ্রাণের শিক্ষর্থীদের শিখন টা হবে দীর্ঘস্থায়ী বলে জানান জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪ এ রাঙামাটি জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা নির্বাচিত,কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়ন এর রিফিউজি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোসামৎ কামরুন নাহার বেগম। তিনি আরো জানান শিশু শিক্ষার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আনন্দময় পরিবেশ। আরও প্রয়োজন শিক্ষকদের আন্তরিকতা,স্নেহ, মমতা আর ভালোবাসার হাতছানির ছোঁয়া। তবেই প্রাথমিক শিক্ষা কাঙিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছবে।