• মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজনীতি থেকে অবসর নিলেন সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোঃ আবুল কাশেম সরকার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় মনোনিবেশ করার আহবান জানালেন ইউএনও মনজুর আলম দূর্গোপূজা উপলক্ষ্যে বান্দরবান সেনা রিজিয়নের উদ্যোগে সহায়তা বান্দরবানে ডেঙ্গু সচেতনতা ও বিশেষ পরিষ্কার অভিযান নবীনগরে কুখ্যাত মাদক চোরাচালান কারী গ্রেফতার – ৪ খাগড়াছড়িতে প্রতিমা-পেন্ডেল তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পী ও আয়োজক কমিটি আওয়ামী অপশক্তি ষড়যন্ত্র শুরু করেছে : মাহবুবের রহমান শামীম আলীকদম সেনা জোনের আওতাধীন আলীকদম ও লামা উপজেলার সকল পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও সহায়তা প্রদান খাগড়াছড়িতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় খাদ্যশস্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদান  গোয়ালন্দে ভাঙন প্রতিরোধে মানববন্ধন দূর্গা পূজা, প্রবারণা পূর্ণিমা সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠিত ও সমাপ্ত হবে : অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোল্লাহাটে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ইউ ও নো সাথে মতবিনিময়

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মুসলিম নাগরিক অধিকার মজলিসের ৯ দাবি

স্টাফ রিপোর্টার: / ১১৮ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কাছে ‘সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার অক্ষুন্ন রেখে নির্দিষ্ট স্থানে (মন্দিরে) এবং নির্দিষ্ট নিয়মে দূর্গাপূজা করা’সহ ৯টি দফা দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম মুসলিম নাগরিক অধিকার মজলিস এর নেতৃবৃন্দ।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪ টায় বারো আউলিয়ার পূণ্যভূমি চট্টগ্রাম নগরীর ২নং গেটের বিপ্লব উদ্যানে এক সমাবেশে চট্টগ্রাম মুসলিম নাগরিক অধিকার মজলিস এর শীর্ষক সমাবেশে এসব দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের আহবায়ক মুহম্মদ অছিউল হুদা।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৯ দফা দাবি হলো-
এক. দূর্গা পূজা সার্বজনীন উৎসব নয়। এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবকে সার্বজনীন বলা যাবেনা, ধর্ম যার যার উৎসব সবার এটি একটি স্বৈরাচারী কথা। এই পূজাকে সার্বজনীন দাবী করা, সার্বজনীন বলা এবং তাদের নিজস্ব ধর্মীয় উৎসবকে সবার উৎসব বলার অর্থই হলো অন্য ধর্মকে হ্যায় প্রতিপন্ন করা। সুতরাং কোন মন্দিরে দূর্গা পূজাকে সার্বজনিন উল্লেখ করে এবং ধর্ম যার যার উৎসব সবার এমন অবমাননাকর লিখিত কোন সাইনবোর্ড, ব্যানার, পোষ্টার প্রচার করা যাবে না।

দুই. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূজা মণ্ডপ তৈরী করা যাবে না এবং পূজাও করা যাবে না। মন্দিরের ভেতরেই পূজা করতে হবে, মন্দিরের বাইরে রাস্তায় মণ্ডপ বানিয়ে কিংবা পূজার মিছিল করে যানজট তৈরী করে জনগণের চলাচলের অধিকারে বাধা প্রদান করা চলবে না।

তিন. যেখানে মুসলিম ও মসজিদ আছে এমন জায়গায় মন্দিরে জোরে মাইক বাজানো, ডেস্ক সেট বাজানো, পূজার নামে ডিজে পার্টি করে, শব্দ দূষণের মাধ্যমে জনবিরক্তি তৈরী করা যাবেনা। পাশাপাশি পূজাকে কেন্দ্র করে মদপান করে মাতলামী ও অশ্লিলতার বিস্তার বন্ধ করতে হবে।

চার. মূর্তির উচ্চতার ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করতে হবে। পরিবেশ রক্ষার্থে প্রয়োজনের অতিরিক্ত মূর্তি নিষিদ্ধ করতে হবে। উন্মুক্ত পানিতে মুর্তি ডুবানো নিষিদ্ধ করতে হবে। হিন্দু অধ্যুষিত ভারতের অনেক রাজ্যে পরিবেশ রক্ষার্থে উন্মুক্ত স্থানে মুর্তি ডুবানো নিষিদ্ধ অথচ চট্টগ্রাম সি-বীচ (যা একটি পর্যটন কেন্দ্র) এবং যত্রযত্র নদী, পুকুর, খাল, বিলে পূজার মূর্তি ডুবিয়ে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ করা হয়। যা কখনোই কাম্য নয়।

পাঁচ. গত আওয়ামী আমলে আমরা দেখেছি, ত্রাণ তহবিলের টাকা হতে মন্ডপ প্রতি ৫০০ কেজি করে প্রায় ৩২,০০০ (বত্রিশ হাজার) মন্ডপে চাল দেয়া হত। যার পূরটাই মুসলমানদের টাকা। বাংলাদেশ একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। এই দেশে ৯৮ ভাগ মুসলমান। মুসলমানদের টাকায় পূজা চলবে কেন? মুসলমানদের টাকা পূজায় খরচ করা ধর্মীয় অধিকার হরন করার মতো অপরাধ, যা মুসলমানদের সাথে সুস্পষ্ট গাদ্দারী। ত্রাণ তহবিল সহ সরকারি রাজস্বের সিংহভাগ টাকা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের। সুতরাং ত্রাণের টাকা ত্রাণের জন্য রাখতে হবে। কোন ভাবেই মুসলমানদের টাকা পূজায় দেওয়া চলবে না।

ছয়. হিন্দুদের পূজায়, হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্যতীত কোন মুসলমান থেকে পূজার জন্য চাঁদা তুলা যাবেনা। পূজায় আর্থিক অংশগ্রহণ মুসলমানদের ইসলামী শরীয়তে নিষিদ্ধ।

সাত. মুসলমান যেহেতু আল্লাহ পাক ব্যাতীত কারো ইবাদত করে না। কাজেই যত্রতত্র পূঁজার তোরণ বানানো যাবেনা। যেহেতু তোরণে দুর্গার ছবি থাকে যার নিচ দিয়ে যাওয়া মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শামিল।

আট. স্কুল-কলেজে পূজার প্রসাদ খাওয়ানো যাবে না। মুসলমানদের জন্য তা খাওয়া হারাম। আওয়ামীলীগ আমলে আমরা দেখেছি, চট্টগ্রামের এক স্কুলে মুসলিম শিশু শিক্ষার্থীদের পূঁজার প্রাসাদ খাওয়াতে যা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত নিন্দনীয় ও হারাম। সুতরাং পূজার কোন প্রসাদ মুসলমাদেরকে দেওয়া বন্ধ করতে হবে। এবং ৯৮ ভাগ মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষার্থে রাষ্টীয় ভাবে এইটাকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

নয়. হিন্দুদের মধ্যে একটি উগ্র হিন্দুত্ববাদী শ্রেণী রয়েছে, যারা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব্য বিরোধী অখন্ড ভারতে বিশ্বাসী। অখন্ড ভারত বাস্তবায়নে তারা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যার প্রমাণ আমরা বিভিন্ন সময় মিডিয়াতে দেখেছি এবং নিয়মিত দেখতে পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মদদে, নিজেদের মূর্তি নিজেরা ভেংগে মুসলমানদের উপর দোষ চাপিয়ে মামলা ও হামলা করতে আমরা দেখেছি। এরা কিছুদিন পূর্বেও মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় সংলগ্ন কদম মোবারক মসজিদে হামলা করেছিল।

এছাড়াও আপনারা জানেন, ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দির ভাঙ্গার মিথ্যা অপবাদ ও অপপ্রচার করে নিরাপরাদ, গরীব ঘরের আপন দুই মুসলিম সহোদর ভাইকে নির্মমভাবে পিটিয়ে শহীদ করা হয়েছিলো। সুতরাং নিজেদের নাক কেটে অন্যের উপর দোষ চাপানোর ভিকটিম কার্ড খেলা বন্ধ করতে হবে।

কাজেই এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী অখন্ড ভারতে বিশ্বাসী গোষ্ঠী যাতে কোনভাবেই দূর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে দেশের ভেতর কোন প্রকার অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে, প্রশাসনকে সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে এবং সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে কোন মুসলমান যেন তাদের পুজা মন্ডপের আশপাশে না যায় সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ