রাঙামাটি :আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূজা সুষ্ঠু ভাবে শেষ করতে আনসার, বিজিবি,পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলার শারদীয় দুর্গাপূজা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব পালনের জন্য আহবান ও মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়ন করা হবে বলে জানানো হয়।
এ সময় সনাতন নেতৃবৃন্দ সড়কের বেহাল দশা, পৌরসভার সড়ক বাতির ব্যবস্থা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরা হলে জেলা প্রশাসক সকল সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।
একই সঙ্গে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরাও শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তায় সার্বিক সহযোগিতার করার কথা জানান।
এবার রাঙামাটি জেলায় ৪৪টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে হ্যাপিমোড়স্থ জগদ্ধাত্রী মাতৃ মন্দিরে নতুন ১টিসহ শহরে হবে ১৫টি। এছাড়াও অন্যান্য উপজেলাগুলোর মধ্যে নানিয়াচর, বিলাইছড়ি ও জুরাছড়িতে ১টি করে, কাপ্তাই ৮টি, রাজস্থলী ও কাউখালীতে ৪টি করে, বরকল ২টি, বাঘাইছড়িতে ৫টি ও লংগদুর ৩টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোতাছেম বিল্যাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও রাঙামাটির সাবেক সাংসদ ঊষাতন তালুকদার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মামুনুর রশিদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটির সভাপতি অমলেন্দু হাওলাদার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃত্বসহ বিভিন্ন সংগঠন ও মঠ মন্দিরের প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।