• শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
মহালছড়ি উপজেলা প্রেস ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা মাইসছড়িতে আগুনে পুড়ে ২টি দোকান ও ১টি ঘর ছাই, উপজেলা বিএনপির আর্থিক সহযোগিতা প্রদান দীঘিনালায় অবৈধভাবে ফুটপাত দখলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বাঙ্গালহালিয়া আবাসিক হিন্দুপাড়া মা মগদ্বেশ্বরী মাতৃমন্দিরে মহোৎসব সম্পন্ন খাগড়াছড়িতে বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের দাবীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন লামায় ৭ তামাক চাষীকে অপহরণ সাঙ্গু পত্রিকার সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি চট্টগ্রাম যন্ত্রশিল্পী সংস্থার শীতবস্ত্র বিতরণ মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে খেলাধূলা বিকল্প নেই – ওয়াদুদ ভূঁইয়া কাকডাকা সকালে নির্ঘুম শীতার্ত মানুষের মাঝে উষ্ণতা ছড়ালেন ইউএনও তাহমিনা আফরোজ ভুঁইয়া তিন শতাধিক অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ২৩ বিজিবি যামিনীপাড়া জোনের কম্বল বিতরণ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিল দীঘিনালা সেনা জোন

রাবি অধ্যাপককে প্রাণনাশের হুমকির সত্যতা মেলেনি

অলিউল্লাহ রাজশাহীঃ / ৪৫২ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০২১

নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সরকার সুজিত কুমারকে প্রাণনাশের হুমকির সত্যতা মেলেনি।

ওই অধ্যাপকের সাধারণ ডায়েরির তদন্ত শেষে এ তথ্য জানান নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন।

মোবাইল ফোনে হুমকির প্রেক্ষিতে নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২৯ জুলাই বোয়ালিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন অধ্যাপক ড. সরকার সুজিত কুমার।

মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ড. সরকার সুজিত কুমার পরিবার নিয়ে রাজশাহী নগরীর কুমারপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। অভিযোগ পাবার পর থেকেই তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছিল বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। সেই সঙ্গে চলছিল জিডির তদন্ত।

ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জিডির তদন্তে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েছে। অধ্যাপক ড. সরকার সুজিত কুমার তার মোবাইলে একটি নম্বর থেকে ফোন দিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযাগ এনেছেন।

আমরা তদন্ত করে দেখেছি, ওই দিন এবং ওই সময় সেই নম্বরটি থেকে তার ফোনে কোনো কলই আসেনি। এমনকি অন্য কোনো অপরিচিত নম্বর থেকেও কল আসেনি।

তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে আমরা এটি নিশ্চিত হয়েছি। তাছাড়া ওই অধ্যাপক তার অভিযোগের কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে পারেননি পুলিশের কাছে। সেই অর্থে তার অভিযোগটি খারিজ হয়ে গেছে।

থানায় দাখিল করা জিডিতে অধ্যাপক ড. সরকার সুজিত কুমার উল্লেখ্য করেন, মহান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক তার রচিত চারটি গ্রন্থের মধ্যে একটি ‘নাটোর জেলার ইতিহাস এতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ’ অন্যতম।

২০০৮ সালে এ গ্রন্থটি প্রকাশ করা হয়। পরের বছর ২০১০ সালে গ্রন্থটি প্রথম সংস্করণ প্রকাশ পায়। এরপর ২০২১ সালের বই মেলায় প্রকাশ পায় দ্বিতীয় সংস্করণ।

প্রথম গ্রন্থ প্রকাশের ৩১০ পৃষ্ঠায়, প্রথম সংস্করণের ৩৬১ পৃষ্ঠায় এবং দ্বিতীয় সংস্করণের ৬০০ পৃষ্ঠায় রাজাকার হাসান আলীর নাম মুদ্রিত হয়েছে।

এই অধ্যাপকের দাবি, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ ও স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম মাঠপর্যায়ে ৩ বছর যোগাযোগ করে নাটোর জেলার গ্রামগঞ্জে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে সাক্ষাৎকার নিয়ে ছবি তুলে তথ্য সন্নিবেশিত করেছেন তিনি। একাধিক সাক্ষাৎকারদাতা নাটোর কান্দিভিটার (পুরাতন কোর্টপাড়া) হাসান আলী একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় একজন ‘কুখ্যাত রাজাকার’ ছিল বলে তথ্য দিয়েছেন।

গত ১ আগস্ট ড. সরকার সুজিত কুমার ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছিলেন, রাজাকার হাসান আলী সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের পিতা, এটি তিনি জানতেন না। কিন্তু বর্তমানে নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ গঠন নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হলে বইটি আলোচনায় আসে। এরপর এমপি শিমুলের পক্ষ নিয়ে ইতোমধ্যেই আমাকে কিছু অপরিচিত সন্ত্রাসী জীবননাশের বারবার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ