আগামীকাল পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষনায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৭ টা থেকেই দৌলতদিয়া ঘাটে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বিভিন্ন উপায়ে ঘাটে আসা যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। কঠোর লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে যানবাহন সংকটে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা এসব যাত্রীর জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ছোট যানবাহনের চাপ ছিলো চোখে পড়পর মতো। কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ রিকশায়, অটোতে আবার কেউ ব্যাক্তিগত গাড়িতে। অনেক কে দেখা গেছে।
ঘাটে ফেরি ভিড়ার সাথে সাথে যাত্রীরা হুরমুর করে ফেরিতে উঠছে। যাত্রীদের চাপে কোন যানবহন ফেরিতে উঠতে পারছে না। এমন কি রোগি নিয়ে আসা এ্যাম্বুলেন্সও ফেরিতে উঠার সুযোগ হচ্ছে না। ফেরি মানা হচ্ছে না কোন সাস্থ্যবিধি ।
মাগুরা থেকে থেকে অটোরিকশায় দৌলতদিয়া ঘাটে আসা যাত্রী সুমন শেখ বলেন, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বলেন তার অফিস রবিবার খোলা। চাকরির সুবাদে যেতেই হবে ঢাকায়। বউ ছোট বাচ্চা নিয়ে যেতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। তারপর একটু পর পর বৃষ্টি। কঠোর লকডাউনের মধ্যে ঢাকা যাওয়া খুবই কষ্টকর। কিছু করার নেই কয়েকগুন বেশি ভাড়া দিয়েই যেতে হচ্ছে এখন।
অ্যাম্বুলেন্স চালক মো সাজাহান শেখ বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে প্রচুর মানুষ আসছে। প্রতিটা পল্টুনে যাত্রীর চাপ। ফেরি আসার সাথে সাথেই যাত্রীরা পল্টুনের উপর উঠে যাচ্ছে। আমরা ফেরিতে উঠতে পারছি না। প্রায় ঘন্টাখানের এখানে দাড়িয়ে রয়েছি। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, আমাদের ১৬ টি ফেরিই প্রস্তুত আছে। উভয় ঘাটে এখন ছোট-বড় মিলে মোট ৮ টি ফেরি চলছে। যখন যে ঘাট থেকে যানবাহন নিয়ে ছাড়া প্রয়োজন সেভাবেই ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীর চাপ বেড়ে গেলে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। তবে কঠোর বিধিনিষিধের কারণে ঘাটে আসা যানবাহন সরাসরি ফেরিতে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে।