সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে সরকার। ইতিমধ্যে মাটিরাঙ্গায় সর্বজনীন পেনশনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এক মাসেই সর্বজনীন পেনশনে মাটিরাঙ্গা বিভিন্ন শ্রেণি পেশার দেড় হাজার মানুষ নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে। যা খাগড়াছড়ি জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ।
সার্বজনীন পেনশন স্কিম গ্রহনে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং বিভিন্ন দপ্তর প্রধান ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ প্রতিদিনই সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) গ্রহন করছেন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবী, শিক্ষক, ইমাম, সাংবাদিক, শ্রমিক, কৃষক, রিকশাচালক, দিনমজুর ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার সাধারণ মানুষ সার্বজনীন পেনশন স্কিম গ্রহণ করছেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন সূত্র মতে, সর্বজনীন পেনশন স্কীম নিবন্ধন কার্যক্রমে খাগড়াছড়ির জেলার মধ্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলা শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নিরন্তর ছুটে চলা এবং নিরলস প্রচেষ্টায়।
মাটিরাঙ্গার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. মুছা মিয়া বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কীম চালু করার ফলে সাধারন মানুষের বৃদ্ধ বয়সে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হলো। তিনি নিজের জন্য সার্বজনীন পেনশন স্কীমে নিবন্ধন করার পরামর্শ দেন।
বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রহমত উল্যাহ বলেন, ইউএনও মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সাধারন মানুষ সার্বজনীন পেনশন স্কীম প্রকল্পকে লুফে নিয়েছে। প্রতিদিনই সাধারন মানুষ স্ব-উদ্যোগে নিবন্ধন করে টাকা জমা দিচ্ছে।
সার্বজনীন পেনশন স্কীমকে সরকারের একটি ভাল উদ্যোগ বলে মনে করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সুবাস চাকমা। তিনি বলেন নিরাপদ ভবিষ্যত গড়তে যার যার অবস্থান থেকে এই স্কিম গ্রহন করা উচিত।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কিম একটি জাতীয় প্রকল্প। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন গণমুখী কার্যক্রমের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আর্থিক সুরক্ষায় সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ বলেও মন্তব্য করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।
পেনশন স্কিম গ্রহনে উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে ইউএনও ডেজী চক্রবর্তী বলেন, চারটি স্কিমে নিবন্ধনকারীদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন সেবা দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টার।