আব্দুল মান্নান স্টাফ রিপোর্টার (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার মাধ্যমিক, দাখিল ও ভোকেশনালের ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১১ শ ৩৩ জন শিক্ষার্থী এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও কেবলমাত্র দাখিলে একজন জিপিএ-৫ পেয়েছে ! ১১শ ৩৩ জনের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৭৬৩ জন। গড় পাশের হার ৮২.৯২ শতাংশ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলার আটটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১ হাজার ৭জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছেন ৬শ ৪৭ জন। এখানে গড় পাশের হার ৬৪.২৫ শতাংশ। মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ নেই!
ফলাফল বিবেচনায় এসএসসিতে শীর্ষ স্থানে “রাণী নিহার দেবী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের ৯২.৪৫ শতাংশ, বড়ডলু উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশের হার ৮৬.৭৯ শতাংশ এবং মানিকছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭২.৩২ শতাংশ। দাখিলে জিপিএ-৫ একজন। দক্ষিণ চেঙ্গুছড়া নেছারিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় ৮৮. ২৩ শতাংশ, মানিকছড়ি ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসায় ৯৫ শতাংশ, জিপিএ-৫ একজন এবং গাড়ীটানা দাখিল মাদরাসায় ৭৫শতাংশ। অন্যদিকে কারগরি ভোকেশনাল দক্ষিণ চেঙ্গুছড়া নেছারিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় ১০০ শতাংশ এবং এসএসসি ভোকেশনালে কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯৩. ১০ শতাংশ পাস করেছে। এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনালের ১১শ ৩৩ জনে পাশ ৭শ ৬৩ জন। পাশের হার ৮২.৯২ শতাংশ।
উপজেলার মাধ্যমিক স্তরে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় অভিভাবকের অনেকে অসন্তুষ্ট! মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী ফলাফলের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার একমাত্র মানিকছড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় একজন জিপিএ-৫ পেয়েছে। অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে জিপিএ-৫ নেই! পড়ালেখার মানোন্নয়নে অভিভাবক ও শিক্ষকদের আন্তরিকতার পাশাপাশি অভিভাবক সমাবেশের ওপর জোর দিতে প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।