বিশেষ প্রতিনিধি, পার্বত্য অঞ্চল:
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বরকলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীর নির্বাচনী পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলাসহ কর্মী-সমর্থকদের হুমকি প্রদানের অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর একজন নির্বাচনী এজেন্ট বরকল থানায় জিডি করেছেন। বরকল থানা পুলিশ জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আগামী ৮ই মে রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৬ষ্ঠ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্টিত হবে। এই লক্ষ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারি প্রার্থী সন্তোষ কুমার চাকমার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনার জন্য পোষ্টার- ব্যানার নিয়ে তাদের কয়েকজন কর্মী রাঙামাটির ভারত সীমান্তবর্তী বড়হরিণা ইউনিয়নের পাঠালে সেখানে যাওয়া মাত্রই তাদেরকে কয়েকজন যুবক উক্ত পোষ্টার-ব্যানার লাগাতে নিষেধ করে।
কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে কারন জানতে চাইলে এসময় উক্ত যুবকরা প্রার্থী সন্তোষের কর্মী- সমর্থকদের গালি-গালাজ ও হুমকি দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। একইভাবে বরকলের ঠেগামুখ ও খুব্বাং এলাকায় পোষ্টার-ব্যানার লাগাতে গেলে সেখানেও বাধা দিয়ে হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ উল্লেখ করা হয় জিডিতে।
বিষয়টি জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সন্তোষ কুমার চাকমা তার নির্বাচনী এজেন্ট মোঃ আবুল কালাম কর্তৃক বরকল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের তথ্য প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আমার নেতাকর্মীদের প্রতিনিয়তই জেএসএস এর পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেএসএস’র অব্যাহত হুমকিতে নির্বাচনে ৬টি কেন্দ্রে আমার পোলিং এজেন্ট বসাতে পারবো না। সেখানকার স্থানীয় আমার কর্মী-সমর্থকদের প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, স্থানীয় পোলিং অফিসারগণ যদি নিরপেক্ষ থাকে এবং জাল ভোট প্রতিরোধ করে তাহলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত। কিন্তু ইতোমধ্যেই রাঙামাটি শহরে পোলিং কর্মকর্তাদের নিয়ে ভোজসভা করেছে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা। এতেই বুঝা যাচ্ছে নির্বাচন কতোটা সুষ্ঠ হবে।
তারপরও পুলিশ-বিজিবি, আনসার ব্যাটালিয়নের পাশাপাশি যদি প্রতিটি কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয় এবং তারা স্ট্রং ভূমিকা পালন করে তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠ হবে।
এদিকে বরকল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিনহাজ মাহমুদ ভূইঁয়া জানিয়েছেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সেটি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।