করোনা সংক্রমণ রোধে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। অন্যদিকে ঝুঁকি নিয়ে জীবিকার তাগিদে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথের উভয় প্রান্ত দিয়ে ফেরিতে নদী পার হচ্ছে নিম্নবিত্ত, কর্মজীবী মানুষ ও ব্যাক্তিগত যান।
সরেজমিনে বুধবার বেলা ১১ টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে জীবিকার তাগিদে নিম্ন ও মধ্য আয়ের কর্মজীবী মানুষ বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিক্সা, থ্রীহুইলার, মোটরসাইকেল যোগে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে গাদাগাদি করে ফেরিতে নদী পার হচ্ছে। এসব বাহনের পাশাপাশি পায়ে হেঁটেও ঘাটে আসছে মানুষ।
হাটতে হাটতে কথা হয় যশোর থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রী মাহমুদ হোসেন এর সাথে তিনি বুকে চাপা কষ্ট নিয়ে বলেন, এবারের লকডাউন জিবনটা বিষাক্ত করে দিয়েছে। কাজকর্ম বাদ দিয়ে বাড়ী বসে থাকলে সংসার চলবে কিভাবে। করোনার ভয়ে ঘরে বসে থেকে তো না খেয়ে মরতে পারিনা। আমরা সাধারণ মানুষ কর্মই আমাদের জীবন। কাজ না করলে জীবন চলেনা। দিনে দিনে ঋণের বোঝা ভারি হচ্ছে এভাবে বসে থাকলে সম্মান যতটুকু আছে তাও থাকবে না তাই বাধ্য হয়েই ঢাকা যাচ্ছি। আমার মতো অনেক মানুষ আছে, যাদের কাজ না করলে বেঁচে থাকার উপায় নেই।
অপরদিকে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, লকডাউন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মহাসড়কে টহলের পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) মো. জামাল হোসেন বলেন, বর্তমানে এ নৌরুটে ছোট বড় ৯টি ফেরি চলাচল করছে। জরুরী সেবার যানবাহন পারাপারের সুযোগে সাধারণ যাত্রী ও মটরসাইকেল ফেরিতে উঠে যাচ্ছে, ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে যথাযথ কারণ ও প্রমান ছাড়া ফেরির টিকেট দেয়া হচ্ছে না।