আর মাত্র দুই দিন পরেই মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘ঈদ উল ফিতর’ ও পাহাড়ের অন্যতম সামাজিক উৎসব ‘বৈসাবী’। ঈদ ও বৈসাবীকে সামনে রেখে মাটিরাঙ্গার দুই শতাধিক দুস্থ, অসহায় ও নিম্নআয়ের মানুষ পেল উপহার সামগ্রী। পাশাপাশি দুর্গম জনপদের পাঁচ শতাদিক মানুষ পেল চিকিৎসা সহায়তা। গুইমারা রিজিয়নের তত্বাবধানে ১৫ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী মাটিরাঙ্গা জোন এ কর্মসুচীর আয়োজন করে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালের দিকে মাটিরাঙ্গা সরকারী ডিগ্রী কলেজ মাঠে এসব মানিবক ও ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেডের গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম।
ঈদ উল ফিতর ও বৈসাবী উৎসবকে সামনে রেখে গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন এলাকার দুইশ জন অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারেকে উপহার সামগ্রী, ১০ পরিবারকে সোলার প্যানেল, বেকারত্ব দুরীকরণে ৫জনকে সেলাই মেশিন, অসহায় পরিবারের মাঝে ১০ বান্ডিল ঢেউটিন, চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান ও এতিমখানায় ১০টি সিলিং ফ্যান বিতরণ করেন গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম।
এ সময় মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল মো: কামরুল হাসান, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিরন জয় ত্রিপুরা ও মাটিরাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর আলমসহ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মাটিরাঙ্গা জোনের এরকম মানিবক কার্যক্রম ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে মন্তব্য করে মাটিরাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এমএম জাহঙ্গীর আলম বলেন, ঈদের মাত্র দুইদিন আগে এমন সহায়থা নিম্নআয়ের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। সেনাবাহিনীর মানবিক কর্মকান্ডে দুর্গম জনপদের সাধারন মানুষ আশার আলো দেখছে বলে মনে করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিরন জয় ত্রিপুরা।
পার্বত্যাঞ্চলে পাহাড়ী-বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির মাঝে ষৈৗহার্দ্যপুর্ণ সহাবস্থান ও সুসম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে মন্তব্য করে গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম বলেন, যা সত্যইি প্রশংসার দাবদিার। সেনাবাহিনী শুরু থেকৈই বিভিন্ন রকমের মানবেতর চাহিদা পুরণের মাধ্যমে সাধারন মানুষের পাশে আছে। দুর্গম পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি আর্তমানবতা সেবা ও দেশের যেকোন দূর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।