রিপন ওঝা,মহালছড়ি
মহালছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সীমান্তে সিন্দুকছড়ি ইউনিয়ন লাগোয়া ধুমনীঘাট সার্বজনীন শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে বিশ্ব মানবতার কল্যানে জীবের দুঃখ মোচনে ও শান্তি কামনার্থে মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী মহাবারুণী গঙ্গাস্নান উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী মহাবারুণী গঙ্গাস্নান উপলক্ষে ৫ ও ৬মার্চ ২দিন অষ্ট প্রহরব্যাপী মহাবারুণী স্নানোৎসবে অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানাম যজ্ঞ ও মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
ধুমনীঘাট সার্বজনীন শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির পরিচালনা পর্ষদ থেকে নিজস্ব উদ্যোগে ২৬তম বারুণী গঙ্গা স্নানোৎসবে মহালছড়ি ধুমনীঘাট শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে অনুষ্ঠেয় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বারুনী স্নানে দূরদূরান্ত এবং দুর্গম এলাকা থেকে আসা পূণ্যার্থীদের পিপাসা নিবারণের জন্য ২৪ মাঈল হতে বিশুদ্ধ জলের সরবরাহ করেছে।
ধুমনীঘাট সার্বজনীন শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির কর্তৃক অনুষ্ঠিত
মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী মহাবারুণী গঙ্গাস্নান উপলক্ষে উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী নকুল চন্দ্র ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী নমেন জয় ত্রিপুরা(কাবিলা) আশা প্রকাশ করে বলেন আমাদের এই মন্দির উন্নয়নে(মন্দির ভবন ও সীমা প্রাচীর নির্মাণ) ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের অহংকার মাননীয় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আন্তরিকতার সহিত সুনজর ও সহযোগিতা কামনা করেন।
উক্ত মহোৎসবকে ঘিরে মন্দির এলাকায় বসেছিল বিশাল গ্রামীণ মেলা। মেলা ও উৎসবে মহালছড়ি উপজেলা ও আশপাশের উপজেলাগুলো হতে হাজার হাজার পূণ্যার্থী ভক্তের সমাগম ঘটে।
উক্ত ২৬তম মহা বারুণী তীর্থ গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত উক্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠান মহোৎসবে স্থানীয় ভাবে অংশগ্রহণকারী একাধিক ধর্মীয় কীর্তনিয়া দল অংশ গ্রহণ করে মহামন্ত্র অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানাম যজ্ঞ ও মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধুমনিঘাট শিলার মাঝে স্নান করার উপরের স্থানে ধুমনেশ্বর মহাদেব শিবলিঙ্গ রয়েছে। ওঁ নমো শিবায়। হর হর মহাদেব। জয় বাবা ভোলানাথ।
হাজার হাজার ধর্মীয় ভক্ত, অনুরাগী ও পূণ্যার্থীদের অংশগ্রহণ উপস্থিতির উক্ত মহোৎসবের অংশ গ্রহনকারী কীর্তনিয় দলের মধ্যে হাজার হাজার দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন খাগড়াছড়ি সদর হতে আগত শ্রী শ্রী ব্রজেশ্বরী বিশাখা সম্প্রদায়, শ্রী শ্রী জয় গোবিন্দ সম্প্রদায়, শ্রী শ্রী নামহট্ট সম্প্রদায় সহ স্থানীয় ধুমনিঘাট এলাকার শ্রী শ্রী গীতা সংঘ সম্প্রদায় নামকীর্তনে মধুর নাম পরিবেশনে উপস্থিত হাজার হাজার দর্শক ভক্তদের বিমোহিত করে রাখে।
উল্লেখ্য যে, হিমালয় কন্যা গঙ্গার অপরনাম বারুণী। বারুণী স্নান এখানে গঙ্গা স্নানেরই প্রতিরুপ। বাঙলা সনের প্রতি চৈত্র মাসের শতভিষা নক্ষত্রযুক্ত মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে এই স্নান অনুষ্ঠিত হয়। শাস্ত্র মতে কোন বছর যদি ঐদিনটি শনিবার হয় তবে ঐ বারুণী স্নান অসাধারণত্ব লাভ করে মহা বারুণী স্নান রুপ লাভ করে। এই স্নান টি বস্তুত্ব হিন্দু ধর্মীয় একটি অন্যতম পূন্য স্নান উৎসব হিসেবে বিবেচিত।