মোঃ সালাউদ্দিন:- খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমির মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে ইটভাটায়। এতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য, সংকুচিত হচ্ছে ফসলি জমি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গুইমারা উপজেলার বাল্যাছড়ি এলাকায় ফসলি ক্ষেতের মাটি গত কিছু দিন ধরে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ফসলি জমি কেটে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়।সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে ভাটায়। এর ফলে ফসলি জমি হারিয়ে ফেলছে যৌবন চাষের অযোগ্য হয়ে পড়ছে জমি,শঙ্কায় স্থানীয় কৃষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেরই এক বা একাধিক স্থানের ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে অর্থের বিনিময়ে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন মাটিখেকোরা।
প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এলাকার মাটিখেকোরা। কিন্তু জমির মালিকেরা টাকার লোভে মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। আর মাটিখেকোরা ফসলি জমির মাটি কিনে ভাটায় বিক্রি করছে।
এ ব্যাপারে ১ এপ্রিল গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী বলেন, ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধে জনপ্রতিনিধিদেরও সচেতনতা মূলক একটা ভূমিকা পালন করা উচিত। ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধে তিনি কঠোর পদক্ষেপ নেন। আদালতে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর বিভিন্ন ধারা রয়েছে তা সঠিক ভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। সে সময় তিনি জমি ও ইট ভাটার মালিক দেরকে সর্বমোট ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার)টাকা অর্থদণ্ড করেন।
এসময় গুইমারা কৃষি অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মজিবুর রহমান, গুইমারা থানার এসআই (নিঃ) এ. বি. সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন। গরিব কৃষকদের অর্থের দুর্বলতার ফলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন মাটিখেকোরা। ভাটামালিকেরাও এ সুযোগে মজুদ বাড়িয়ে গড়ে তুলছেন স্ব স্ব ইটভাটায় মাটির পাহাড়।