মোঃ মাসুদ রানা, রামগড়(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধি
রামগড় বারৈয়ারহাট মুল সড়কে ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের নিরাপদ জোন হিসাবে দিন দিন পরিচিত হয়ে উঠছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। এই সড়ক দিয়ে লক্ষাধিক মানুষ প্রতিনিয়ত চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় যাতায়াত করে।
জানা গেছে, রামগড়-বারৈয়ারহাট সড়কের কয়েকটি স্পটে প্রতিনিয়ত হচ্ছে ডাকাতি। ডাকাতদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যবসায়ীসহ যাত্রীরা ডাকাতদের হাতে খুইয়েছে লাখ লাখ টাকা ও দামি মালামাল। সড়কের করেরহাট অংশের কালাপানি ও ফটিকছড়ির বাগানবাজার এলাকার রামগড় চা বাগানের ১নং গেটে ডাকাত ও ছিনতাইকারীর ঘটনা ঘটছে সবচেয়ে বেশি। কালাপানি এলাকা থেকে গত এক সপ্তাহে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার এক পরিবারের প্রাইভেটকার গতিরোধ করে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩টি আইফোন ও নগদ টাকাসহ প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ সময় আরও ৫-৬টি গাড়ি থেকেও ডাকাতরা সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে যায়। রামগড়ের এক মাদ্রাসার পরিচালকের মোবাইল ফোনসহ নগদ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। যাত্রীবাহী বাস ও একটি প্রাইভেটকারও পড়ে ডাকাতদের কবলে। প্রতিদিনই কিছু সংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী ডাকাতির শিকার হচ্ছেন। ফটিকছড়ির বাগানবাজার এলাকার রামগড় চা বাগানের ১নং গেটে এলাকায় ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের ডিলারশিপ সেলের গাড়ি থামিয়ে কর্মচারীদের মারধর করে নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী নুরুল আলমের ডিলারশিপ সেলের গাড়ি থেকে নগদ ২ লাখ টাকাসহ কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন থেকে জানা যায়, সন্ধ্যা থেকে ভোরবেলা পর্যন্ত ডাকাতিগুলো সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতরা ছিল সংঘবদ্ধ। এক একটি দলে ছিল ১২-১৫ জন। তাদের হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো লম্বা লম্বা ছুরি, হকিস্টিক। এ সময় সড়কে তারা কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি দেখতে পাননি।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন ভুজপুর থানায় একটি অভিযোগ করলেও ব্যবসায়ী নুরুল আলমের মামলা নেননি ভুজপুর থানা পুলিশ। থানা থেকে জানানো হয় বিষয়টি তারা দেখবেন। আলোচিত ডাকাতির ঘটনায় বেশকিছু দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব এলাকার মানুষ। লোকজনের দাবি সড়কের নিরাপত্তা বাড়ানোর। বিশেষ করে রামগড় স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন সেন্টার স্থাপিত হওয়ায় এই সড়কের গুরুত্ব বাড়ছে।